ভারতের মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ে একটি আবাসিক হোটেলে ধর্ষণের অভিযোগে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৪ নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার কলকাতার নিউটাইনের বিধাননগরে কমিশনারেটের পুলিশ ও শিলং পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে।
কলকাতায় গ্রেফতাররা হলেন, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের অপসারিত চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, সিলেট মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি, সিলেট মহানগর যুবলীগের সহ-সভাপতি রিপন ও যুবলীগের সদস্য জুয়েল। পলাতক ২ জন হলেন, সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আফসর আজিজ ও সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু দাস মিটু।
রোববার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বারাসাতের স্পেশাল ক্রিমিনাল কোর্টে তাদের তোলা হয়। কিন্তু বিচারক উপস্থিত ছিলেন না। এ সময় ভারতীয় আইন অনুযায়ী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শিলংয়ের স্থানীয় আদালতে অপরাধীদের হাজির করা হবে এমন আশ্বাসে ট্রানজিট রিমান্ড না নিয়েই তাদের মেঘালয়ের শিলং নিয়ে যায় মেঘালয় পুলিশ।
এদিকে কলকাতার এই ফ্ল্যাট থেকে নাসির, মুক্তি, রিপন ও জুয়েল ছাড়াও সুনামগঞ্জের এক ইউপি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকেও গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। পরে সেখানে অবস্থানরত আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল তাদেরকে ছাড়াতে তদবির শুরু করেন। এরপর মামলার এজহারে নাম না থাকায় ওই ইউপি চেয়ারম্যানকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
কলকাতায় অবস্থানকারী সিলেট আওয়ামী লীগের একাধিক দলীয় নেতা এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরেক সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষণে জড়িত ছিলেন মূলত সিলেট মহানগর যুবলীগের সহসভাপতি রিপন ও সদস্য জুয়েল। কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতা নাসির ও যুবলীগ সভাপতি মুক্তিসহ সবাই মিলে এক ফ্ল্যাটে অবস্থান করায় তাদেরও মামলার আসামি করা হয়েছে। তাই পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেছে।