মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলায় পারিবারিক বিরোধের জেরে গরম পাতিল চেপে ধরে এক গৃহবধূর মুখমণ্ডল ঝলসে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় উপজেলার জিয়নপুর ইউনিয়নের নারান্দিয়া গ্রামের সন্তান সম্ভবা গৃহবধূ সুমি আক্তারের (২২) ওপর এই ঘটনা ঘটে।
গৃহবধূ সুমি আক্তারকে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি ওই গ্রামের রুবেল শেখের স্ত্রী।
এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর বাবা বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। ঘটনার পর থেকে দেবর জুয়েল শেখ পলাতক রয়েছেন।
পুলিশ, গৃহবধূর স্বজন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে রুবেলের পরিবারের মধ্যে কলহ চলে আসছিল। গতকাল সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিদ্যুৎ না থাকায় ফ্রিজ থেকে মাংস বের করাকে কেন্দ্র করে শাশুড়ি রোকেয়া বেগম, শ্বশুর শুকুর আলী ও দেবর জুয়েলের সঙ্গে গৃহবধূর কথা কাটাকাটি হয়।
একপর্যায়ে দেবর জুয়েল জ্বলন্ত চুলায় রান্না করার গরম পাতিলে সুমির মুখ চেপে ধরেন। এতে তাঁর মুখমণ্ডল ঝলসে যায়। পরে খবর পেয়ে সুমির বাবা মো. আকুমুদ্দিন রাতেই সুমিকে স্থানীয় দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ফেরদৌস মাহমুদ খান বলেন, ওই গৃহবধূর মুখমণ্ডল প্রচণ্ড তাপে ঝলসে গেছে। তাঁর চিকিৎসা চলছে। তবে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া প্রয়োজন।
ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত জুয়েল শেখ পলাতক। তাঁর মুঠোফোন বন্ধ থাকায় অভিযোগের বিষয়ে তাঁর বক্তব্য নেওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকারিয়া হোসেন বলেন, এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর বাবা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।