বান্দরবানের লামায় মামাতো ভাইকে জিম্মি করে মুক্তিপণ না পাওয়ায় হত্যা করেছে আপন ফুপাতো ভাই। হত্যার ২৫ দিন পর বুধবার ভোর রাতে পুলিশ মাটি চাপা দেওয়া কিশোরের লাশ উদ্ধার করেছে। একইসাথে এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ফুপাতো ভাইসহ দুজনকে আটক করেছে। নৃশংস এ ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার রূপসীপাড়া ইউনিয়নের শিং ঝিরি এলাকায়।
নিহত কিশোরের নাম হাফেজ মো. অলি উল্লাহ স্বাধীন (১৭)। সে কুমিল্লার দেবিদ্বার থানার ফতেহাবাদ ইউনিয়নের বিষুপুর গ্রামের মো. মোবারক হোসেনের ছেলে। তার অভিযুক্ত কিশোরের নাম মো. আরিফুল ইসলাম (১৭)। সে একই গ্রামের মৃত মো. আব্দুল গণি খাঁ’র ছেলে।
পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, স্বাধীন গত ২২ মার্চ তার ফুফাতো ভাই আরিফুল ইসলামের সাথে বেড়ানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়।
নিহতের বড় ভাই রিয়াজ উদ্দিন সোহেল সাংবাদিকদের জানান, কয়েকদিন যাবৎ ছোট ভাইয়ের কোনো খোঁজ খবর না পেয়ে গত ২৪ মার্চ কুমিল্লার বুড়িচং থানায় হারানোর একটি জিডি করা হয়। এরপরই নিখোঁজ ছোট ভাইয়ের হাত-পা বাঁধা ছবি পাঠিয়ে ঘাতকরা ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন।
মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে সন্দেভাজন হিসেবে আরিফুল ইসলাম ও কুমিল্লার বুড়িচং থানার খারাতাইয়া গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে মো. ফয়েজ আহমদকে (৩৮) আটক করে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ স্বাধীনকে নৃশংসভাবে হত্যা করে মাটি চাপা দেওয়ার চাঞ্চল্যকর তথ্য পায়। পরে আটকদের দেওয়া তথ্যমতে ঘাতকদের সাথে উপজেলার রুপসীপাড়া ইউনিয়নের পাহাড়ি এলাকা শিং ঝিরিস্থ পাহাড়ের উপরে মাটি খুঁড়ে স্বাধীনের লাশ উদ্ধার পুলিশ।
লামা থানার ওসি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, আটক দুজনের দেওয়া তথ্য মতে ও তাদের দেখানো স্থানে মাটি খুঁড়ে আমরা নিহত হাফেজ স্বাধীনের লাশ উদ্ধার করতে সক্ষম হই। নিহতের দুই ভাই তাদের ছোট ভাইয়ের লাশ শনাক্ত করেছে। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ নিহতের পরিবারের লোকজনের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।