বরিশালের বানারীপাড়ায় গৃহকর্মীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে চাখার ইউনিয়নের বিএনপি দলীয় সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ ইদ্রিস আলী সরদারের ছেলে যুবদল নেতা সুমন সরদারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে তাকে বরিশালে কোর্টের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার রাতে ওই গৃহকর্মী বাদী হয়ে সুমন সরদারকে আসামি করে বানারীপাড়া থানায় শিশু ও নারী নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে সুমন সরদারকে গ্রেপ্তার করে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২৩ জানুয়ারী শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চাখার ইউনিয়নের খলিশাকোটা গ্রামের প্রবাসী আসাদুজ্জামান রিপনের স্ত্রী পারভীন বেগমের বাসার ওই গৃহকর্মী বাড়ির বাগানে পাতা কুড়াতে গেলে পাশের বাড়ির ইউপি চেয়ারম্যান ইদ্রিস সরদারের ছেলে সাবেক ছাত্রদল ও বর্তমান যুবদল নেতা সুমন সরদার তাকে জাপটে ধরে টেনেহিচড়ে তার ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এসময় বাধা দেওয়ায় তাকে মারধর করা হয়। ওই গৃহকর্মীর ডাক-চিৎকারে প্রবাসী আসাদুজ্জামান রিপনের মা ও স্ত্রীসহ স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাকে রক্ষা করেন। ওইদিন রাতে নির্যাতিতা ওই গৃহকর্মী বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। এর আগে কু- প্রস্তাব দেওয়াসহ তিন বার ওই গৃহকর্মীকে সুমন সরদার ধর্ষণের চেষ্টা করে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
রবিবার দুপুরে বানারীপাড়া থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) জাফর আহম্মেদ ও উপ-পরিদর্শক মোক্তার হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মামলার বাদী, আসামির বাবা-মা, স্ত্রী এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য রেকর্ড করেন।
এ প্রসঙ্গে ওসি মোঃ হেলাল উদ্দিন বলেন, ওই গৃহকর্মীর অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা নেওয়া হয়েছে। এখন তদন্তপূর্বক পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে জানা গেছে, সুমন সরদারের বিরুদ্ধে এর আগে নারী নির্যাতন, ছিনতাই ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আমলে সে চাখারে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।
আসামি সুমন সরদারের পিতা চাখারের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী সরদার ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ অস্বীকার করে ওই গৃহকর্মীকে তার ছেলে চড়-থাপ্পড় দিয়েছে বলে স্বীকার করেন।