গোলাম রব্বানী শিপন, বগুড়াঃ বগুড়ার শিবগঞ্জে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহতের নাম মেনেরা বেগম (২২)। এঘটনার পর থেকে স্বামী মিলন মিয়া (৩০) পলাতক রয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের ধাওয়াগী মিল্কিপুর গ্রামে।
রোববার বিকাল ৪টায় সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, জাহেদুল ইসলামের পুত্র মিলন মিয়া সে বিয়ে করেন, একই উপজেলার ময়দানহাট্রা ইউনিয়নের পলাশী গ্রামে। তাদের সংসারে মরিয়ম নামের (২) বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
বিয়ের পর থেকেই তাদের সংসারে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো। পরে প্রথম স্ত্রী মেনেকা থাকা স্বত্বেও মিলন মিয়া মর্জিনা নামের আরেক মেয়েকে বিয়ে করেন। দুই সতীনের সংসারে আরও আগুন জ্বলে ওঠে। মিলনের বাড়ীর পাশেই ২য় স্ত্রী মর্জিনার বাড়ী। নিহতের ভাশুর-পত্নী জানান, প্রথম স্ত্রীকে ভরনপোষণ না দেওয়ার কারনেই তাদের সংসারে অশান্তি সৃষ্টি হয়। ২য় স্ত্রীর কথা বেশি শুনেন মিলন।
মূলত তাদের দুই সতীন ও স্বামী সহ ত্রি-মুখী বিবাদ লেগেই থাকতো। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার সকালেও তাদের মধ্যে তুমুল ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে প্রথম স্ত্রী মেনেরাকে বেধক মারপিট করে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে পালিয়ে যান মিলন।
দুপুরে নিহতের জা- অর্থাৎ ভাশুর-পত্নী মেনেরাকে ডাকাডাকি করলে তার সাড়াশব্দ না পেয়ে ঘরে প্রবেশ করে বিছানায় তার নিথর মরদেহ দেখে চিৎকার দেন। পরে এলাকাবাসী শিবগঞ্জ থানা পুলিশকে খবর দিলে শিবগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) জিল্লুর রহমান সহ সঙ্গী ফোর্স ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিহতের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরী শেষে লাশ থানায় নেয়।
এবিষয়ে শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল রউফ বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (শজিমেক) মর্গে পাঠানো হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলেই মৃত্যু প্রকৃত রহস্য জানা যাবে।