বগুড়ায় ব্রডব্যান্ড (ইন্টারনেট) ব্যবসায়ী আজহারুল ইসলাম শান্তকে (২৪) প্রকাশ্যে দিবালোকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা৷
শনিবার (০২ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে শহরের চকফরিদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শান্ত জেলার সারিয়াকান্দি উপজেলার সাহাপাড়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে ও সৈয়দ আহম্মেদ কলেজের ডিগ্রি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি পরিবারসহ শহরের ফুলতলা এলাকায় বসবাস করতেন ও নেট অনলাইন নামে একট ব্রডব্যান্ড প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী।
বগুড়া সদর থানা পুলিশ সূত্র জানায়, বিকেলে শান্ত তার বন্ধু মোস্তাকিমকে সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে চকফরিদ এলাকায় যাচ্ছিলেন। ওই এলাকায় পৌঁছানার পর ৭-৮ দুর্বৃত্ত অটোরিকশায় এসে তাদের পথরোধ করে মারধর শুরু করে।
মোস্তাকিম মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে গেলে দুর্বৃত্তরা শান্তকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে উপর্যপুরি কুপিয়ে ফেলে যায়। তাদের চলে যাওয়ার পর মোস্তাকিম আবারও ঘটনাস্থলে এসে স্থানীয়দের সহযোগিতায় শান্তকে শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের ভাই হাসিবুল ইসলাম প্রান্ত বলেন, চার ভাইয়ের মধ্যে শান্ত সবার ছোট। প্রায় দুই বছর ধরে শহরের কলোনী, ফুলতলা, বাদুরতলা ও চকফরিদসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় সে ব্রডব্যান্ডের ব্যবসা করে আসছিল।
শান্ত চকফরিদ এলাকায় কোনো এক ছাত্রাবাসে প্রায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে যেত। আজও তার বন্ধু মোস্তাকিমকে নিয়ে সেখানে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
তিনি আরও জানান, ব্রডব্যান্ডের ব্যবসা নিয়েই কিছু মানুষের সঙ্গে ঝামেলা ছিল। এত ছোট মানুষ সফলভাবে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে এইটা অনেকের সহ্য হয়নি।
হতে পারে এই হিংসা থেকে কেউ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। বন্ধুদের উপকার করতে গিয়েও শান্ত অনেকের শত্রু হয়েছে এইটাও হত্যার কারণ হতে পারে। এখন আর কিছু বলতে চাই না।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইহান ওলিউল্লাহ বলেন, ঘটনার পরে থেকে পুলিশের একাধিক টিম কাজ শুরু করেছে।
তার ব্যবসায়িক ও ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব সব কিছুই মাথায় রেখে তদন্ত শুরু হয়েছে। দ্রুত রহস্য উদঘাটন হবে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।