ফেনীতে কিশোরীকে ধর্ষণের মামলায় তৌহিদুল ইসলাম শাওন নামে এক পুলিশ কনস্টেবলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বর্তমান কর্মস্থল রাঙ্গামাটি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আজ শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে তাকে ফেনী কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে তিনি ফেনীর ফুলগাজী থানায় কর্মরত ছিলেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, পুলিশ কনস্টেবল তৌহিদুল ইসলাম বছরখানেক আগে ফেনীর ফুলগাজী থানায় কর্মরত ছিলেন। তখন তিনি স্থানীয় নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। একদিন ঘুরে বেড়ানোর কথা বলে ফেনী শহরের একটি বাসায় নিয়ে ফলের জুসের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে মেয়েটিকে পান করান শাওন। এতে ওই কিশোরী অচেতন হয়ে পড়লে তাকে ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ করেন তিনি।
জ্ঞান ফেরার পর ওই কিশোরী ধর্ষণের বিষয়টি বুঝতে পেরে এর প্রতিবাদ করে। তখন তার অশ্লীল ভিডিও ধারণ করা হয়েছে জানিয়ে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেন শাওন। ওই ভিডিওর জেরে বিভিন্ন সময় ভয়-ভীতি দেখিয়ে একাধিকবার ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য। এতে ওই ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।
পরে কিশোরীর পরিবার তাদের মেয়ের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি জানতে পেরে বিষয়টি সমাধানের জন্য শাওনকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে। এক পর্যায়ে শাওন ধারণ করা সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার দেয়ার ভয় দেখিয়ে সেই বিয়ে আটকান। তবে গত ১২ ফেব্রুয়ারি ওই কিশোরী একটি সন্তান জন্ম দিলে বিষয়টি জনসম্মুখে চলে আসে।
এর জেরে বৃহস্পতিবার ফেনীর আদালতে কিশোরীর মা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর ফেনীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল হাসান কিশোরীর ২০ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করে আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। পরে এ ঘটনায় তৌহিদুল ইসলাম শাওনকে তার বর্তমান কর্মস্থল রাঙ্গামাটি থেকে গ্রেফতার করা হয়।
ফুলগাজী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কুতুব উদ্দিন শাওনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।