ফরিদপুরের বাবু শেখ। মাত্র ৩৭ বছর বয়সে ২৬টি বিয়ে করেছেন তিনি। তার নেশাই হলো একের পর এক বিয়ে করা। কিন্তু সেটা নারীর লোভে নয়, মোবাইলের লোভে। দামি মোবাইল ফোন চুরি করতেই একে একে ২৬টি বিয়ে করেছেন তিনি। তবে ২৭তম বিয়ে করার আগেই ধরা খেলেন।
বাবু শেখের বাড়ি ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার আকোটেরচর গ্রামে। তার বাবার নাম দলিল উদ্দিন শেখ। তার সঙ্গে আবুল খায়ের নামে আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি জেলার ভাঙ্গা উপজেলার জান্দী গ্রামের আবু বক্করের ছেলে। তারা সম্পর্কে ভায়রা ভাই।
মঙ্গলবার রাতে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। বুধবার দুপুরে তিনদিনের রিমান্ড চেয়ে ফরিদপুর আদালতের মাধ্যমে দুজনকে কারাগারে পাঠানো হয়।
পুলিশ জানায়, ৩ জানুয়ারি ভাঙ্গা উপজেলায় পর পর কয়েকটি চুরির ঘটনায় মামলা হয়। মামলার সূত্র ধরে প্রথমে জান্দী গ্রাম থেকে আবুল খায়েরকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যমতে পুলিশ চোরের সরদার বাবুকে গ্রেফতার করে।
বাবুর দেয়া স্বীকারোক্তির বরাতে ভাঙ্গা থানার এসআই মো. আজাদ জানান, অসহায় ও দরিদ্র পরিবারের মেয়েদের বিয়ে করাই ছিল বাবুর টার্গেট। তার দুটি নেশা। দামি মোবাইল ফোন চুরি করা আর বিয়ে করা। তিনি দামি মোবাইল ফোন চুরি করে আইইএমই নম্বর পরিবর্তন করে ফেলতেন। এরপর তা বিক্রি করতেন। সেই চুরির টাকাতেই বিয়ে করে বেড়াতেন।
এসআই আজাদ আরো জানান, গ্রামের দরিদ্র পরিবারগুলোর অভাবের সুযোগ নিতেন বাবু। পরিবারগুলোকে টাকার প্রলোভন দেখিয়ে মেয়েদের বিয়ে করতেন। বিয়ের পর ওই এলাকায় খুঁজে খুঁজে চুরি করতেন। এরপর দিতেন গা ঢাকা।
তিনি আরো জানান, সম্প্রতি দিন-দুপুরে চুরির ঘটনা ছিল ভাঙ্গা উপজেলার ছিলাধরচর গ্রামের পৌরসভায় মিজানুরের বাড়িতে। সেখান থেকে একটি মোটরসাইকেল, কয়েকটি দামি মোবাইল, ল্যাপটপসহ বেশ কিছু মালামাল চুরি করেন বাবু। এছাড়া আরো বেশ কয়েকটি বড় চুরির ঘটনা ঘটান তিনি। ঘটনার ১০ দিন পর বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) ভাঙ্গার জান্দি গ্রামের এক দরিদ্র পরিবারের মেয়ের সঙ্গে বাবুর বিয়ের দিন ঠিক হয়। এর আগে তিনি ২৬টি বিয়ে করেছেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বাবু জানান, তিনি বিভিন্ন কৌশলে প্রতারণা করে এ পর্যন্ত ২৬টি বিয়ে করেছেন।