সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছে ভুক্তভোগী কিশোরীর মা।
শনিবার (২১ জানুয়ারি) বিকেলে তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চৌধুরী রেজাউল করিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে একই দিন সকালে ভুক্তভোগীর মা বাদী তালা থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
অভিযুক্ত ব্যক্তি উপজেলার মাগুরাডাঙ্গা গ্রামের ইউপি সদস্য মইনুল ইসলামের ছেলে রাসেল বাদশা (২০)। তিনি উপজেলার মাগুরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকেলে রাসেল বাদশার বাড়িতে এক কিশোরী বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করেন। এ সময় প্রেমিক রাসেল বাদশা অভিভাবকেরা বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ভুক্তভোগী কিশোরীকে তার বাড়িতে ফেরত পাঠানো চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।
ভুক্তভোগী কিশোরী বলেন, প্রায় এক বছর আগে রাসেল বাদশা সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বর্তমানে আমি অন্তঃসত্ত্বা, আমার গর্ভে দুই মাসের সন্তান রয়েছে। আমাকে বিয়ে করবে বলে আশ্বাস দিয়েও বিয়ে করছে না। আমার দাবি, বিয়ের বিষয়টির সুরাহা করতে হবে। তা না করা পর্যন্ত আমি এখান থেকে যাব না।
এদিকে খবর পেয়ে পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে তার মা বাদী হয়ে থানায় রাসেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। তবে ঘটনার পর থেকে পলাতক থাকায় অভিযুক্ত রাসেলের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তার পরিবারের সদস্যরাও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
তালা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিলন কুমার রায় জানান, অভিযুক্ত রাসেল বাদশার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চৌধুরী রেজাউল করিম জানান, শনিবার সকালে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে ভুক্তভোগী কিশোরীর মা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ইতোমধ্যে অভিযুক্ত রাসেলকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।