ভোলায় ঘুমন্ত স্বামীকে হত্যার দায়ে দুই সন্তানের জননী এবং তার পরকীয়া প্রেমিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নিহতের নাম হুমায়ুন কবির। তার বাড়ি তজুমদ্দিন উপজেলার চর জহিরুদ্দিনে।
পুলিশ জানায়, শনিবার গভীর রাতে তজুমদ্দিন উপজেলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ চর জহিরুদ্দিনে নিজ বসতঘরে শারমিন বেগম এবং তার প্রেমিক লিটন মিলে বালিশ চাপা দিয়ে হুমায়ুনকে হত্যা করেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শারমিন হত্যার দায় স্বীকার করেছে বলে পুলিশকে জানিয়েছে।
জানা গেছে, শনিবার সকালে হুমায়ুন কবিরকে তার নিজ ঘরে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তবে হুমায়ুনের স্ত্রী শারমিন বেগমের কথাবার্তা এবং আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে চর জহিরউদ্দিনের পুলিশ ক্যাম্পের পুলিশ হুমায়ুনের লাশ উদ্ধার করে।
পুলিশ শারমিন বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এক পর্যায়ে শারমিন বেগম পুলিশকে জানান, গভীর রাতে তার পরকীয়া প্রেমিক লিটন এবং তিনি দুইজনে ঘুমন্ত হুমায়ুন কবিরের অন্ডকোষ চেপে এবং মুখে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করা হয়। শারমিনের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে রবিবার পার্শ্ববর্তী চর শাওন গ্রাম থেকে লিটনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত মো. লিটন সোনাপুর ইউনিয়নের চরজহিরউদ্দিন ৩নং ওয়ার্ডের আবুল কাশেমের ছেলে। জানা যায়, প্রায় ৫ বছর আগে হুময়ায়ুন কবিরের সাথে শারমিন বেগমের বিয়ে হয়। তাদের ঘরে ২টি সন্তান রয়েছে। কিন্তু বিয়ের আগে থেকেই মো. লিটনের সাথে শারমিন বেগমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল।
তজুমদ্দিন থানা ওসি এসএম জিয়াউল হক গণমাধ্যমকে জানান, নিহতের পিতা নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। গ্রেফতারকৃত লিটন এবং শারমিনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।