কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নে দুই সন্তান রেখে প্রবাসী স্বামীর টাকা-গয়না নিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়েছেন আকলিমা বেগম (২৮) নামের এক গৃহবধূ।
বুধবার (৩০ মার্চ) সকালে ভৈরব থানার ইনচার্জ মো. গোলাম মোস্তফা (পিপিএম) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে রোববার (২৭ মার্চ) সকালে এ ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করেছেন শাশুড়ি।
অভিযুক্ত প্রেমিক গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার বাড়ইপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুর রেহমানের ছেলে নাম আব্দুল আল খালিদ (৩০)।
রোববার (২৭ মার্চ) সকালে আকলিমা বেড়ানোর কথা বলে বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি। পরে জানতে পারেন তিনি প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়েছেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার (২৮ মার্চ) রাতে প্রবাসী হোসেন মিয়ার মা (আকলিমার শাশুড়ি) বাদী হয়ে ভৈরব থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, প্রায় ১২ বছর আগে শিবপুর ইউনিয়নের টান কৃষ্ণনগর গ্রামে ছাদেক মিয়ার ছেলে হোসেন মিয়া একই উপজেলার শিমুলকান্দি ইউনিয়নের গোছামারা গ্রামের সালাম মিয়ার মেয়ে আকলিমা বেগমকে বিয়ে করেন। তাদের তাসনিম হোসেন (১১) নামের মেয়ে ও তাজিম হোসেন (৭) নামের ছেলেসন্তানের জন্ম হয়। বর্তমানে লিবিয়া প্রবাসী হোসেন মিয়া আগে ১২ বছর সৌদি আরব ছিলেন। বিয়ের পর বিশ্বাস করে স্ত্রীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে আয়ের লাখ লাখ টাকা পাঠিয়েছেন।
এদিকে কয়েক বছর হলো তিনি সন্তানদের ভালো লেখাপড়ার কথা চিন্তা করে গ্রামের বাড়ি ছেড়ে স্ত্রী-সন্তানদের ভৈরব শহরের ভৈরবপুর এলাকায় ভাড়া বাসায় রাখা শুরু করেন। ইতোমধ্যে এক নিকট আত্মীয়ের মাধ্যমে পরিচয় হওয়া আব্দুল আল খালিদের সঙ্গে তার প্রেম হয়। স্বামীর অনুপস্থিতিতে প্রেমিকের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ঘটনা জেনে স্বামী তাকে বিদেশ থেকে বারবার সতর্ক করলেও থেমে থাকেননি তাদের অনৈতিক সম্পর্ক ও মেলামেশা। এরই সূত্র ধরে গত রোববার (২৭ মার্চ) প্রেমিক খালিদের হাত ধরে বাসা থেকে বেড়ানোর কথা বলে পালিয়ে যায় আকলিমা। বাসা থেকে যাওয়ার সময় আকলিমা ২০ লাখ টাকা ও ৮ লাখ টাকা মূল্যের ১২ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে যায় বলে অভিযোগে বলা হয়।
আকলিমার শাশুড়ি ও মামলার বাদী হালিমা বেগম জানান, আমার ছেলের প্রবাস সময়ের ১২ বছরের আয় তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসেবে বিশ্বাস করে পাঠিয়েছে। গয়না ছিল ১২ ভরি। এই গয়না আলমারিতে নেই। সব নিয়ে প্রেমিক খালিদের সঙ্গে বেড়ানোর কথা বলে পালিয়ে গেছে।
তিনি আরও জানান, তাদের দুটি শিশুসন্তান রয়েছে। সন্তানদের রেখে আকলিমা পালিয়েছে। আমি এখন অবুঝ শিশু দুটিকে নিয়ে বিপদে আছি।
ভৈরব থানার ইনচার্জ মো. গোলাম মোস্তফা (পিপিএম) জানান, এ ঘটনায় একটি অভিযোগটি পেয়েছি। তবে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।