নোয়াখালীর সেনবাগে ধর্ষণ মামলার এক আসামিকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত মো. আইমুন ভূঞা (২৬) সেনবাগ উপজেলার কাদরা ইউনিয়নের নন্দীর পাড় এলাকার মো. মোস্তফার ছেলে।
বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মো. আইমুন ভূঞাকে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এর আগে গতকাল বুধবার রাতে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সি বিচ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে সেনবাগ থানা পুলিশ।
থানা সূত্রে জানা গেছে, আইমুনকে ধরার জন্য এক নারীর মাধ্যমে প্রেমের ফাঁদ পাতে পুলিশ। কয়েকদিন কথা বলার পর আইমুন ওই নারীর সঙ্গে দেখা করার প্রস্তাব দেয়। বুধবার রাতে সি বিচ এলাকায় দেখা করতে এলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বাতেন মৃধা জানিয়েছেন, ধর্ষণের অভিযোগে ফরহাদ নামের একজনকে প্রধান আসামি করে তিনজনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন এক গৃহবধূ। ওই মামলার ৩ নম্বর আসামি আইমুন।
গত শুক্রবার (২০ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে ওই গৃহবধূ জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বান্ধবীর বাড়িতে যান। কেক কাটার পর স্থানীয় লেদু মিয়ার ছেলে ফরহাদের নেতৃত্বে ৫/৭ জন লোক ওই বাড়িতে আসে। তারা অনুষ্ঠানে আসা ওই গৃহবধূর সঙ্গে রাজন নামের এক যুবকের অবৈধ সম্পর্ক আছে বলে অভিযোগ তুলে তাদেরকে ফরহাদের ভবনে নিয়ে আটকে রাখে। একপর্যায়ে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। রাজন চাঁদা দিতে অস্বীকার করে বিভিন্ন জায়গায় ফোনে যোগাযোগ করলে কিছুক্ষণ পর রাজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু গৃহবধূকে আটকে রেখে কুপ্রস্তাব দেয় তারা। তাতে রাজি না হওয়ায় ফরহাদসহ তিনজন তাকে ধর্ষণ করে। সোমবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে নির্যাতিত গৃহবধূ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সেনবাগ থানায় মামলা দায়ের করেন।