রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক নারী সদস্য প্রার্থী। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী থানায় মামলার পর পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শনিবার বিকেলে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
গ্রেপ্তার পাঁচ আসামি হলেন বাগমারার মাহাবুর রহমান (২৮), আকবর হোসেন (৩৫), সোহেল রানা (২৪), দুলাল হোসেন (২৫) ও ফজলুর রহমান (৪৮)।
ভুক্তভোগী নারীর এক স্বজন জানান, গত ১৪ সেপ্টেম্বর মনোনয়নপত্র জমা শেষে রাজশাহী থেকে যাওয়ার সময় মোহনপুর ও বাগমারা উপজেলার কয়েকজন ভোটারের বাড়িতে যান তিনি। রাতে বাড়ি ফেরার পথে মাহমিনগ্রাম মোড়ে ধর্ষণের শিকার হন ওই প্রার্থী।
তিনি আরো বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় অনেকটা ভেঙে পড়েছেন তিনি। প্রচারণা চালাতে গিয়ে যেহেতু নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, তাই এটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে মাঠেই আছেন। ভোটারদের কাছ থেকে তিনি সাড়া পাচ্ছেন। এ ছাড়া দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামিদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করায় পুলিশের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।
মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম জানান, আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রচারণা চালাতে গিয়ে রাত হয়ে যায় এক নারী সদস্য প্রার্থীর। রাতে বাড়ি ফেরার পথে মাহমিনগ্রামের মোড়ে পাঁচ ব্যক্তি তার গতিরোধ করে। এ সময় তারা তাকে তুলে নিয়ে অস্ত্রের মুখে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। এতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর তিনি স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নেন।
ওসি বলেন, চিকিৎসা শেষে গত বৃহস্পতিবার রাতে থানায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো দুজনকে আসামি করে মামলা করেন। পুলিশ তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় আসামিদের গ্রেপ্তার করে। শনিবার তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
সহকারী রিটার্নিং অফিসার শহীদুল ইসলাম জানান, রাজশাহী জেলা পরিষদের বাগমারা, মোহনপুর ও দুর্গাপুর উপজেলা নিয়ে সংরক্ষিত ২ নম্বর ওয়ার্ড গঠিত। এই ওয়ার্ডে সাতজন নারী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আগামী ১৭ অক্টোবর নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে।
তিনি বলেন, ‘একজন নারী প্রার্থী প্রচারে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে শুনেছি। ঘটনার সঙ্গে জড়িত পাঁচজন গ্রেপ্তারও হয়েছে। তিনি আইনি সহযোগিতা পাচ্ছেন কি না সে বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হবে। ’