অনলাইনে নারীদের সঙ্গে প্রতারণামূলক সম্পর্ক ও ব্লাকমেইল করার অভিযোগে মো. নাজমুল হাসান নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। স্বামীর বিরুদ্ধে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের ফেসবুকে পেজে অভিযোগ করেছেন স্ত্রী নিজেই। মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ভোররাতে সিরাজগঞ্জ জেলার সদর থানার পৌর এলাকাধীন সয়াধানবাড়ি এলাকা থেকে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ পুলিশের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স) মো. সোহেল রানার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং পরিচালিত বাংলাদেশ পুলিশের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এক নারী তার স্বামী মো. নাজমুল হাসানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন নারীর সঙ্গে ভার্চুয়ালি সম্পর্ক গড়ে তুলে প্রতারনামূলকভাবে বিবাহ করা ও তাদের সঙ্গে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি তুলে তা ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে টাকা-পয়সা ও স্বর্ণালঙ্কার হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়ে অভিযোগ করেন। তার স্বামী এভাবে অনেক মেয়েকে প্রতারিত করেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। কিন্তু লোকলজ্জায় কেউ তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে অভিযোগটি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ডিএমপির শ্যামপুর মডেল থানার ওসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়। শ্যামপুর থানা পুলিশ তাৎক্ষনিকভাবে ওই নারীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরবর্তীতে থানায় ওই নারীর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে শ্যামপুর মডেল থানার ওসি মফিজুল আলম এবং এসআই দেবকুমার আচার্য্যের নেতৃত্বে একটি টিম গঠন করা হয়। অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা সাপেক্ষে উক্ত টিম তথ্য প্রযুক্তি ও নানা গোয়েন্দা কৌশল অবলম্বন করে অভিযুক্ত মো. নাজমুল হাসানকে গ্রেফতারের জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়। কিন্তু আসামি বারবার তার অবস্থান পরিবর্তন করতে থাকে। পুলিশও তার পিছু ছাড়েনি। অবশেষে ১৬ ফেব্রুয়ারি ভোররাতে সিরাজগঞ্জ জেলার সদর থানার পৌর এলাকাধীন সয়াধানবাড়ি এলাকা থেকে আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
আসামিকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদকালে সে ভার্চুয়াল রিলেশনের মাধ্যমে একাধিক মেয়ের সঙ্গে প্রতারনামূলক অবৈধ সম্পর্ক স্থাপনসহ ইতোমধ্যে প্রতারনামূলক কৌশল অবলম্বন করে তিনটি বিয়ে করেছে বলে স্বীকার করে। সিরাজগঞ্জের যে স্থান থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে সেখানেও সে এক নারীর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করেছে বলে স্বীকার করে সে। তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।