নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে পুত্রবধূকে (১৮) ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে শ্বশুরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার নাম মো. কামাল হোসেন খন্দকার (৫০)। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পুত্রবধূ বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন।
এর আগে পাইনাদী নতুন মহল্লা এলাকা থেকে ৯ এপ্রিল (শনিবার) রাত ১২টায় তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, বিবাদী প্রায়ই তার পুত্রবধূকে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। বিবাদীর প্রস্তাবে রাজি না থাকায় বিবাদী তাকে প্রায়ই ভয়ভীতি প্রদর্শন করত। গত ২৪ মার্চ বিকাল ৪টায় বিবাদীর ছেলে ও ভুক্তভোগীর স্বামীকে দোকান হতে কয়েল আনার জন্য পাঠায়। অতঃপর বিবাদী ভিক্টিমকে তার সাথে শারীরিক মেলামেশা করতে বলে। সে রাজি না হওয়ায় তাকে জড়িয়ে ধরলে ভিক্টিম চিৎকার করে এবং তার ডাক-চিৎকারে বাসার অন্য সদস্যরা চলে আসলে বিবাদী ভুক্তভোগীকে ছেড়ে দেয়।
ঘটনার বিষয়ে থানায় গিয়ে অভিযোগ দিলে উপ-পরিদর্শক (এসআই) শওকত জামিল শনিবার রাতে শ্বশুর কামাল হোসেন খন্দকারকে আটক করে। রবিবার দুপুরে ভুক্তভোগীর দায়ের করা মামলায় অভিযুক্ত শ্বশুর কামাল হোসেন খন্দকার ওরফে গ্যাস কামালকে আদালতে পাঠায় পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত লম্পট কামাল হোসেন খন্দকার ওরফে গ্যাস কামাল সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের কর্মী। সে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়ে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে বলে এলাকাবাসী জানায়।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মশিউর রহমান জানান, গ্রেফতারকৃত কামাল হোসেন খন্দকারের ছেলে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী হওয়ায় প্রায়ই তার পুত্রবধূকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। ওই পুত্রবধূ প্রস্তাবে রাজি না থাকায় কামাল হোসেন খন্দকার তাকে (ভিক্টিমকে) প্রায়ই ভয়ভীতি প্রদর্শন করত। পরে ভুক্তভোগীর অভিযোগ পেয়ে অভিযুক্তকে শনিবার রাতে আটক করা হয়।