কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলায় পুত্রবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে শ্বশুরের বিরুদ্ধে। তার নাম একাব্বর। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এরপর পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত শ্বশুরকে গ্রেফতার করেছে। শুক্রবার (২৪ জুন) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার ঢাকী ইউনিয়নের পাতারকান্দি গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
মিঠামইন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কলিন্দ্র নাথ গোলদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মেয়েটির মা পরিষ্কার বানু জানান, দুই বছর পূর্বে উপজেলার ঢাকী ইউনিয়নের পাতারকান্দি গ্রামের একাব্বর মিয়ার ছেলে দিদারের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় তার মেয়ে শামসুন্নাহারের। বিয়ের কিছুদিন পর দিদার কাজের সন্ধানে চলে যায় চট্টগ্রামে। এরপর মাঝে মাঝে আসতেন বাড়িতে। ফাঁকা বাড়িতে একাই থাকতেন শামসুন্নাহার।
এ সুযোগে গত ৬ মাস পূর্বে তার ঘরে ঢুকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন শ্বশুর একাব্বর। পরে শামসুন্নাহার মোবাইল ফোনে ঘটনাটি স্বামীকে জানালে তিনি বাড়িতে আসেন। এসে খানিকটা রাগারাগি করে বউ নিয়ে চলে যান পার্শ্ববর্তী গোবিন্দপুর গ্রামের শ্বশুরবাড়িতে। এরপর সেখানে গিয়ে এ বিষয়ে কারও কাছে কিছু না বলতে নিষেধ করেন শামসুন্নাহারকে। পরে তাকে বাবার বাড়ি রেখে দিদার আবার চলে যান চট্টগ্রামে।
এরপর স্ত্রীর সঙ্গে ধীরে ধীরে যোগাযোগ কমাতে থাকেন তিনি। একপর্যায়ে স্ত্রীকে বাড়িতে ফিরিয়ে নিতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি। স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগও বন্ধ করে দেন। গত দুদিন আগে তাকে আর ঘরে তুলে নিবে না বলে মোবাইল ফোনে স্ত্রীকে জানিয়ে দেন দিদার। এ অবস্থায় লজ্জা আর অপমানে শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে বাবার বাড়িতে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন শামসুন্নাহার।
মিঠামইন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কলিন্দ্র নাথ গোলদার জানান, নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেয়েছি। একাব্বরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মরদেহ থানায় রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ শনিবার কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে।
এদিকে ঘটনার পর থেকে স্বামী দিদার পলাতক রয়েছে বলে জানা গেছে।