কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার থেতরাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতার বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেছেন এক গৃহবধূ। সোমবার (২৭ জুন) গৃহবধূ বাদী হয়ে উলিপুর থানায় এ মামলা করেন। থানার ওসি ইমতিয়াজ কবির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহারে গৃহবধূ উল্লেখ করেছেন, চেয়ারম্যান আতাউর রহমান জনশুমারি ও গৃহগণনার কাজ দেওয়ার কথা বলে গৃহবধূকে জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপিসহ গত ৯ জুন বাড়িতে ডাকেন। ওই দিন চেয়ারম্যানের বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় ধস্তাধস্তি করে চেয়ারম্যানের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করেন গৃহবধূ। পরে চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে দৌড়ে গিয়ে অটোরিকশায় উঠেন। পেছনে পেছনে দৌড়ে গিয়ে চেয়ারম্যানও অটোরিকশায় উঠেন এবং ঘটনাটি প্রকাশ না করার জন্য গৃহবধূকে ভয়ভীতি দেখান। ঘটনার পর স্বামীকে বিষয়টি জানান। পরে স্বামীর পরামর্শে থানায় মামলা করেন গৃহবধূ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে থেতরাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা বলেন, ‘বিষয়টি সম্পূর্ণ সাজানো। সেদিন স্বামীকে নিয়ে আমার বাড়িতে এসেছিলেন গৃহবধূ। আমার স্ত্রী, গৃহপরিচারিকা ও অন্যরা বাড়িতে ছিল। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’
কেন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত জানতে চাইলে চেয়ারম্যান বলেন, ‘এলাকার এক নারীর কাছ থেকে ওই গৃহবধূ টাকা ধার নিয়েছিলেন। দীর্ঘদিন ধারের টাকা না দেওয়ায় আমার কাছে অভিযোগ দেন পাওনাদার নারী। আমি বিষয়টি মীমাংসা করে দিয়েছিলাম। এখনও ২৫ হাজার টাকা পাওনা রয়েছেন ওই নারী। এর মধ্যে আমার কাছে কাজের জন্য আসেন গৃহবধূ। বাকি টাকা পরিশোধ করার আগে কাজ দিতে অস্বীকৃতি জানাই। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে আমার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ তুলেছেন গৃহবধূ। অভিযোগ তোলার পর উলিপুর পৌর মেয়র ও অন্যান্য ইউপি চেয়ারম্যান বসে বিষয়টি মীমাংসা করে দিয়েছিলেন। এরপরও থানায় মামলা করেছেন তিনি।’
উলিপুর থানার ওসি ইমতিয়াজ কবির বলেন, ‘চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
গৃহবধূর আর্থিক লেনদেন নিয়ে চেয়ারম্যানের সঙ্গে দ্বন্দ্বের বিষয়ে ওসি বলেন, ‘আর্থিক লেনদেনের ঘটনার সঙ্গে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনার সম্পৃক্ততা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে।’