নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলায় স্বামী পরিত্যক্তা এক সন্তানের জননীকে (২৩) ব্যাংকের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে অচেতন করে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত সেই যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
এদিকে সোমবার বিকেলে কুমিল্লা থেকে সেই যুবলীগ নেতা ফুয়াদ আল মতিনকে পিবিআই এর সহায়তায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার সোমবার সন্ধ্যায় গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের। তিনি আরও বলেন, গতকাল রাতে ভিকটিম অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা ফুয়াদ আল মতিনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত একজনকে আসামি করে এ মামলা দায়ের করেন।
অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা চাটখিল উপজেলার পাঁচগাঁও ইউনিয়ন যুবলীগের একাংশের সাধারণ সম্পাদক এবং একই ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের আবু তারাব গ্রামের মতিন প্রফেসর বাড়ির মতিন প্রফেসরের ছেলে।
ভুক্তভোগী নারী অভিযোগও মামলা সূত্রে জানা যায়, তিনি আগে ঢাকায় বসবাস করতেন। কিছু দিন আগে তিনি গ্রামে ফিরে আসেন। এরপর তিনি একটি চাকরির খোঁজ করেন। যুবলীগ নেতা ফুয়াদ তাকে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখায়। একপর্যায়ে রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সে আমাকে চাকরির ইন্টারভিউ দিতে ডেকে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে অচেতন করে ধর্ষণ করে। ওই সময় ফুয়াদের আরেক সহযোগী ধর্ষণের ভিডিও মুঠোফোনে ধারণ করে। একই সাথে তারা আমাকে বিষয়টি কাউকে জানালে ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দেয়। তারপর ঘটনাস্থল থেকে একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশায় উঠিয়ে দিয়ে আমাকে ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে বাধ্য করে।
চাটখিল থানার ওসি মো.আবুল খায়ের বলেন, নির্যাতিত ওই নারী বর্তমানে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। মামলা হয়েছে এবং অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেফতার কুমিল্লা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।