ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণার পর চট্টগ্রামে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ২০০ টাকা ছাড়িয়েছে। পেঁয়াজের এই দাম নিয়ন্ত্রণে বাজারে অভিযান চালাচ্ছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
আজ রবিবার চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলী বাজারে অভিযান চালিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। অভিয়ান চলাকালে মেসার্স বাছামিয়া সওদাগর দোকানে গিয়ে ভোক্তার কর্মকর্তারা দেখতে পান, দোকানে টাঙানো পণ্যের মূল্যতালিকায় পেঁয়াজ নেই লেখা রয়েছে।
তা দেখে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহসহ কর্মকর্তারা দোকানির সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় সন্দেহ হওয়ায় তারা গুদামে তল্লাশি চালান। গুদাম তল্লাশি করে ৩৬ বস্তা পেঁয়াজের সন্ধান পান ভোক্তার কর্মকর্তারা।মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ বলেন, ‘দোকানি মূল্য তালিকা লেখার স্থানে পেঁয়াজ নাই লিখে রাখলেও তার কথায় সন্দেহ হয়।পরে তার গুদাম তল্লাশি করে ৩৬ বস্তা পেঁয়াজ পাওয়া যায়। এসব বস্তায় রয়েছে প্রায় ১ হাজার ৭০০ কেজি পেঁয়াজ। গুদামে মজুত রেখে বাড়তি দামে পেঁয়াজ বিক্রি করায় তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া ১২০ টাকা দামে এই পেঁয়াজগুলো বিক্রির নির্দেশ দেওয়া হয়।এ ছাড়া মেসার্স কালু শাহ এন্টারপ্রাইজ নামে আরেকটি দোকানেও বাড়তি দামে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছিল। দোকানটিকেও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।’এদিকে, চট্টগ্রামে খাতুনগঞ্জে অভিযান চালিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। রবিবার বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খাতুনগঞ্জ এলাকায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুকের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে।এই সময় মূল্য তালিকা না থাকা এবং ক্রয় বিক্রয় রশিদ সংরক্ষণ না করার দায়ে মেসার্স মেহের আলী ট্রেডার্সকে ১০ হাজার টাকা এবং মেসার্স মোহাম্মদ আলি আহম্মদকে ১০ হাজার করে মোট ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পাইকারি দোকান থেকে সংগ্রহকৃত রশিদে দেখা গেছে, খাতুনগঞ্জের সৌমিক ট্রেডার্স, আবুল বশর অ্যান্ড সন্স, মেসার্স মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন, মেসার্স জান্নাতুল মাওয়া এই আড়তগুলো থেকে কেজিপ্রতি ১৭৫ থেকে ১৯৮ টাকায় পাইকারি দোকানে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওমর ফারুক জানিয়েছেন, বাজারে বিভিন্ন দোকানে জরিমানা করার পাশাপাশি মনিটরিং অব্যাহত থাকবে। এছাড়াও সরবরাহ কমার অজুহাতে যাতে ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়াতে না পরে সেই বিষয়েও লক্ষ্য রাখা হচ্ছে।