দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করার ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে ভয় দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তানভির আহম্মেদ (২৪) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জানা যায়, তানভির আহম্মেদ জেলার পার্বতীপুর উপজেলার পাটিকাঘাট গ্রামের আতিয়ার রহমানের ছেলে।
গতকাল রোববার রাত সোয়া ৯টায় ফুলবাড়ী থানায় ওই যুবকের বিরুদ্ধে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইন ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন ওই যুবতী (২০)।
এজাহার সূত্রে আরও জানা যায়, একইভাবে ধর্ষণের ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয়ভীতি এবং হুমকি দেখিয়ে গতকাল রোববার আবারো সেই আবাসিক হোটেল এসকে টাওয়ারে আসতে বলে যুবতীকে। যুবতী বাধ্য হয়ে হোটেলে আসলে ধর্ষণের উদ্দেশ্যে ওই যুবতীর কাপড় খোলার চেষ্টা করে তানভির। এসময় ওই যুবতী কৌশলে তার বন্ধু বাদশা আলীকে মুঠোফোনে ঘটনা জানালে; বাদশা আলী স্থানীয় লোকজন নিয়ে ওই আবাসিক হোটেল থেকে উদ্ধার করে যুবতীকে। পরে ওইদিন রাতে সোয়া ৯টায় বাদী হয়ে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইন ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে ফুলবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করেন ওই যুবতী।
এসকে টাওয়ার আবাসিক হোটেলের স্বত্ত্বাধিকারী সানোয়ার হোসেন জানান, তার হোটেলে কোনো কক্ষ বরাদ্দ দেওয়া হয়নি।
ওই যুবতীর সহপাঠী বাদশা আলী জানান, তার বান্ধবীকে তানভির আহম্মেদ দীর্ঘ দিন থেকে বিয়ের প্রলোভনসহ ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয়ভীতি দেখিয়ে পুনরায় দুপুরে এসকে টাওয়া আবাসিক হোটেলে নিয়ে আসে। বান্ধবীর কাছ থেকে ক্ষুদেবার্তায় ঘটনাটি জানার পর থানা পুলিশের সহায়তায় ওই আবাসিক হোটেল থেকে উদ্ধার করা হয়।
ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফখরুল ইসলাম জানান, গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টায় ওই যুবতীর বন্ধু বাদশা ও স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় যুবতীসহ তানভিরকে এসকে টাওয়ার থেকে উদ্ধার করা হয়। পরে ওই ভিকটিমের বাবা-মাকে খবর দিলে রাত সোয়া নয়টায় যুবতী বাদী হয়ে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইন ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেন।
ওসি আরও জানান, আজ সোমবার সকালে আসামি তানভিরকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া ওই যুবতীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।