জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বামীকে আবাসিক হলে আটকে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী মামুনুর রশিদ ওরফে মামুন এবং তার সহযোগী মো. মুরাদ আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়ার থানার পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. মিজানুর রহমান আসামিদের আদালতে হাজির করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুজাহিদুল ইসলামের আদালত তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
আশুলিয়া থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার সাব-ইন্সপেক্টর মো. মাসুদ মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৭ ফেব্রুয়ারি মামুনকে রাজধানীর ফার্মগেট এলাকা থেকে এবং মুরাদকে নওগাঁ থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
৩ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৯ টার দিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মোশাররফ হোসেন আবাসিক হলের ৩১৭ নং কক্ষে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে বোটানিক্যাল গার্ডেনে কৌশলে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে মোস্তাফিজ ও মামুনুর রশীদ মামুন।
ওই ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী রাতেই বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় ছয় জনের নাম উল্লেখ করে মামলাটি দায়ের করেন।