চট্টগ্রামের রাউজানে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রকে বলাৎকারের চেষ্টার পাশাপাশি কামড়ে রক্তাক্ত করার অভিযোগে জালাল আহম্মদ নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের পাঁচখাইন এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর জালাল দাবি করেন, ‘শয়তানের ধোঁকায় পড়ে এমন কাজ করেন তিনি। তাতে তার কী করার আছে!’
জালাল আহম্মদ (৬০) চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার আমিরাবাদ সুন্নিয়াপাড়া এলাকার মৃত এজাহার মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার ক্লাস শেষে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে ভিকটিম ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রকে মোবাইল ও টাকার লোভ দেখিয়ে পার্শ্ববর্তী জঙ্গলে নিয়ে যান জালাল। সেখানে তাকে জোরপূর্বক বলাৎকারের চেষ্টার পাশাপাশি কামড়ে রক্তাক্ত করেন তিনি। শিশুটি কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি এসে তার মাকে বিস্তারিত খুলে বলেন। পরে তার মা জালালকে আসামি করে রাউজান থানায় মামলা করেন।
মামলার পরপরই পুলিশ গ্রেফতার অভিযানে নামে। এদিকে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে সটকে পড়েন জালাল। রাতভর বিভিন্ন পয়েন্টে চিরুনি অভিযানের পর বুধবার ভোরে রাউজানের নোয়াপাড়া ইউনিয়নের পাঁচখাইন এলাকার এক মাজার প্রাঙ্গণ থেকে তাকে আটক করা হয়।
জানা গেছে, জালাল একজন দুশ্চরিত্র লোক হিসেবে এলাকায় পরিচিত। এর আগেও তাকে একই অপরাধে গণধোলাই দেওয়া হয়।
সহকারী পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন শামীম বলেন, নিজের স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও জালালের বিরুদ্ধে একের পর এক শিশু বলাৎকারের অভিযোগ থেকে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, তিনি সম্ভবত বিকৃত যৌনাচারে অভ্যস্ত। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ ও আরও তথ্য উদঘাটনের জন্য রিমান্ডের আবেদন করা হবে।
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল হারুন বলেন, জালাল আহম্মদকে একজন অভ্যাসগত শিশু বলাৎকারকারী হিসেবে আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি। ২০১৫ সালেও শিশু বলাৎকারের ঘটনায় কয়েক মাস জেল খাটেন তিনি।