সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার এক ছাত্রকে (১৪) বলাৎকারের অভিযোগে মাওলানা ফয়েজ উদ্দিন (৫০) নামের এক মাদ্রাসাশিক্ষককে পিটুনি দিয়ে পুলিশে দিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। গতকাল রোববার রাত সাড়ে আটটার দিকে মাদ্রাসা থেকে ফয়েজ উদ্দিনকে আটক করে পিটুনি দেওয়ার পর পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ফয়েজ উদ্দিন উপজেলার মুহাম্মদিয়া তাহফিজুল কোরআন মাদ্রাসার মুহতামিম।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওই মাদ্রাসার এক আবাসিক শিক্ষার্থীকে (১৪) গত মার্চ বলাৎকার করেন ফয়েজ উদ্দিন। ওই শিক্ষার্থী যেন ঘটনাটি কাউকে না জানায়, সে জন্য ভয়ভীতি দেখিয়েছিলেন তিনি। গত শনিবার একইভাবে ওই শিক্ষার্থীকে বলাৎকার চেষ্টা করলে সে পালিয়ে বাড়িতে চলে যায়। গতকাল সকালে ওই শিক্ষার্থীর পরিবার তাকে মাদ্রাসায় যেতে বললে সে অস্বীকৃতি জানায়। পরে একপর্যায়ে সে পরিবারের লোকজনের কাছে ঘটনাটি খুলে বলে। এরপর স্বজনেরা মাদ্রাসায় গিয়ে এলাকাবাসীকে বিষয়টি জানালে তাঁরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওই শিক্ষককে পিটুনি দিয়ে রাতেই পুলিশে দেন। পুলিশ তাঁকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
গোলাপগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক ফয়জুল করিম বলেন, এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর পরিবারের পক্ষ থেকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা করা হয়েছে। ওই মামলায় মাদ্রাসাশিক্ষক ফয়েজ উদ্দিনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তিনি বলেন, ফয়েজ উদ্দিন আহত অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ওই শিশুকেও হাসপাতালের ওয়ান–স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।