চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে রাস্তা থেকে দশম শ্রেণির একছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে। এই ঘটনায় অভিযুক্তকে সহায়তার দায়ে আজ সোমবার এক নারীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে ধর্ষক এখনো পলাতক। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এমন দাবি পুলিশের।
গত রবিবার ফরিদগঞ্জ উপজেলার আষ্টামহামায়া পাঠশালা নামে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল দশম শ্রেণির ওই ছাত্রী। পথে এলাকার চিহ্নিত বখাটে শিমুল মিজি (২৪), ইজাজ হোসেন (২৩) এবং সাব্বির হোসেন (২৪) স্কুলছাত্রীকে পাশের ভোটাল গ্রামের একটি বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে তাদের আশ্রয় দেয় লিপি বেগম (৩২) নামে এক নারী। পড়ে ওই নারীসহ অন্যরা বাড়ির একটি ঘরে আটকে রাখে ছাত্রীটিকে।
একপর্যায়ে তারা তিনজন ঘরের বাইরে অবস্থান এবং ভেতরে প্রবেশ করে শিমুল মিজি। এসময় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ছাত্রীটিকে ধর্ষণ করে শিমুল মিজি। পরে এই বিষয় কাউকে জানালে ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ছাত্রীটিকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এদিকে, এই ঘটনার পর ধর্ষিতা বাড়ি ফিরে কান্নাজাড়িত কণ্ঠে বিস্তারিত প্রকাশ করে মায়ের কাছে। পরে রবিবার রাতেই ফরিদগঞ্জ থানায় মূল ধর্ষকসহ চারজনকে আসামি করে একটি মামলা রুজু করেন ছাত্রীর মা।
অন্যদিকে, ধর্ষিতার ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সোমবার সকালে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই বিষয় হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার সুজাউদৌলা রুবেল জানান, প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে।
ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদ হোসেন জানান, এই ঘটনায় মামলার প্রধান আসামি শিমুল মিজিকে গ্রেপ্তার করার চেষ্টা অব্যাহত আছে। তবে এর সঙ্গে জড়িত অন্য তিনজনকে কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি জানান, তারা কুমিল্লায় আত্মগোপনের চেষ্টা করেছিল।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ধর্ষণে অভিযুক্ত শিমুল মিজি ফরিদগঞ্জের পূর্বাঞ্চলের চিহ্নিত লম্পট ও বখাটে এবং মাদক কারবারি। শিমুল লীগ নামে এলাকায় তার একটি গ্রুপ আছে।