নোয়াখালীর চাটখিলে ফাতেমা মরিয়ম অর্পিতা নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বরে) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার নোয়াখোলা ইউনিয়নের সিংবাহুড়া গ্রাম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
অর্পিতা চাটখিল পৌরসভার শাহনেয়ামতপুর এলাকার বেলাল হোসেনের মেয়ে এবং সিংবাহুড়া গ্রামের ইতালিপ্রবাসী রবিউল ইসলাম রুবেলের স্ত্রী।
স্থানীয়রা জানান, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে অর্পিতার সঙ্গে রুবেলের পরিবারের সম্মতিতে গোপনে বিয়ে হয়। গোপনে বিয়ে হওয়ার কারণ হিসেবে জানা যায়, দুই পরিবার তাদের আনুষ্ঠানিক বিয়ের আয়োজন করে। বাল্যবিয়ের অপরাধে বিয়েটি ভেঙে দেয় উপজেলা প্রশাসন।
অর্পিতার পরিবারকে জরিমানাও করে। পরে তারা প্রশাসনের দৃষ্টি এড়াতে গোপনে বিয়ের আয়োজন করে। বিয়ের পর থেকেই শাশুড়ির নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছিল কিশোরী অর্পিতা।
অর্পিতার বাবা-মা ও স্বজনদের দাবি, অর্পিতাকে হত্যা করেছে তার শাশুড়িসহ পরিবারের লোকজন। শরীরে বিভিন্ন নির্যাতনের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তবে অর্পিতার শ্বশুরবাড়ির পরিবার বলছে, অর্পিতা রাত ৩টার দিকে বাথরুমে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদ হোসেন বলেন, প্রাথমিকভাবে শরীরের কোথাও নির্যাতনের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।