গাজীপুরের শ্রীপুরে এক নারী পোশাক শ্রমিক গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। গত রবিবার উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের ইন্দ্রপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেফতার করেছে শ্রীপুর থানা পুলিশ।
ভুক্তভোগী নারী (১৯) সাতক্ষীরা জেলার উত্তর কাঠিয়া বৌ বাজার এলাকার বাসিন্দা। সোমবার শ্রীপুর থানায় চার জনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেন ওই নারী।
অভিযুক্তরা হলেন, রাজবাড়ী জেলার সদর উপজেলার লক্ষী নারায়ণপুর গ্রামের কলিম উদ্দিন শেখের ছেলে সাগর শেখ (৩১), বাবু (৩২) পিতা মৃত আব্দুল আলিম, নাজমুল (৩০) পিতা আব্দুল করিম ও গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার ইন্দ্রপুর গ্রামের মৃত রহিম উদ্দিনের স্ত্রী আনোয়ার বেগম আনো (৪০)। ঐ নারী শ্রীপুর উপজেলার টেপির বাড়ি এলাকার নর্দান গার্মেন্টস পোশাক কারখানায় অপারেটর পদে কাজ করতেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নারী পোশাক শ্রমিকের সাথে কিছুদিন আগে সাগর মিয়ার পরিচয় হয়। পরিচয়ের পর থেকে তাদের দুজনের মধ্যে ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটে। এর ধারাবাহিকতায় রবিবার ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে মোবাইল ফোনে নারীকে ডেকে আনেন সাগর। সাগরের কথা মতো দুপুর ২টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে যান তারা। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে পার্ক বন্ধ সেই বিষয়টি জানতেন না ঐ নারী। সাগর তার অসৎ উদ্দেশ্য হাসিল করতে স্থানীয় আনোয়ার বেগম আনোর বাড়িতে নিয়ে যায় ভুক্তভোগী নারীকে। এরপর একে একে তার দুই বন্ধুসহ পালাক্রমে ধর্ষণ করে সাথে থাকা স্বর্ণালঙ্কার লুটে নিয়ে মেয়েটিকে একটি বাঁশঝাড়ে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোন্দকার ইমাম হোসেন বলেন, অভিযুক্ত ধর্ষক সাগরকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য তাকে গাজীপুরের শহিদ তাজ উদ্দিন আহাম্মেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।