চট্টগ্রাম শহরের আগ্রাবাদের অতি পরিচিত মাদক কারবারি জাকির হোসেন প্রকাশ গাঁজা জাকির। দীর্ঘদিন ধরে তিনি চালিয়ে আসছেন এই ব্যবসা। আর এই কাজে তার সহযোগী স্ত্রী রিতা ও শাশুড়ি হনুফা। এক্ষেত্রে তিনি গাঁজা কিনে আনেন। বউ আর শাশুড়ি মিলে সেগুলো বিক্রি করেন। নিজে এনিয়ে বেশ কয়েকবার জেল খাটলেও বউ শাশুড়ি অধরাই ছিলো সবসময় । তবে জাকিরের সাথে এই দুই নারীকেও এবার পুলিশের হাতে ধরা দিতে হয়েছে।
শুক্রবার ( ২১ মে) দিবাগত রাতে আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকার ১৭ নং ও ১ নং রোড থেকে তাদের গ্রেফতার করে ডবলমুড়িং থানার পুলিশ। এসময় তাদের লাছ থেকে বিপুল পরিমাণ গাজা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, জাকির হোসেন (৩৩), তার স্ত্রী রিতা আক্তার (২২) এবং শাশুড়ি বিবি হনুফা (৪৫)। জিজ্ঞাসাবাদে জাকির জানান, অন্য মানুষ নিয়ে এই ব্যবসা বিপজ্জনক। তাই বউ আর শাশুড়ি মিলেই এই ব্যবসা করছে। এখন গাঁজা বিক্রি করলেও আগে ফেন্সিডিল বিক্রি করত তারা। জাকিরের বিরুদ্ধে এর আগেও ৩টি মামলা রয়েছে।
জানা যায় জাকির যখনই গ্রেপ্তার হয়েছেন, শাশুড়ি ঢাকায় গিয়ে হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে এসেছেন। শুধু গত এক বছরেই তিনবার জেলে যায় জাকির। তিন বারই হাইকোর্ট থেকে জামিন করিয়ে আনেন শাশুড়ি হনুফা। আর স্ত্রী রিতা তখন একাই ব্যবসা দেখভাল করতেন।
জাকির জানান, শুধুমাত্র জামিন করিয়ে আনাই নয়; এই মাদক বিক্রির সুবিধার্তে শাশুড়ি বিভিন্ন বাসাবাড়িতে কাজ করেন। কোন নির্দিষ্ট এলাকায় কাঙ্ক্ষিত ক্রেতা পেয়ে গেলে এরপর সেই এলাকার কাজ ছেড়ে দেন তিনি। নতুন এলাকায় যান। নতুন বাসায় কাজ ঠিক করে নেন।
ডবলমুরিং থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, গতকাল গভীর রাতে নগরীর আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকার ১৭ নং রোড বুড়ি মা’র মাজারের সামনে থেকে স্বামী, স্ত্রী ও শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের সাথে ক্রেতা সেজে যোগাযোগ করা হয় এবং তাদের কাছ থেকে ৩ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আগ্রাবাদ সিডিএ ১ নং রোড বলিরপাড়া আমিনুল হক মেম্বারের বাড়ির সালাউদ্দিনের ২ য় তলার বাসা থেকে আরও ৭ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।