সাভার পৌর ব্যাংক কলোনি এলাকায় সামিয়া আক্তার (২৫) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ স্বামী সাদনাম সাকিব হৃদয়কে (৩০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, বিয়ের সময় সামিয়াকে দেওয়া ২৫ ভরি স্বর্ণের গহনাকে কেন্দ্র করে স্বামী ও শ্বশুর -শ্বাশুড়ির সঙ্গে কথা-কাটাকাটির জেরেই সামিয়াকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
শুক্রবার (১২ আগস্ট) সকালে ঘটনাটির কথা নিশ্চিত করেছেন সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) কাজী মাইনুল ইসলাম।
এরআগে, বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) রাতে সাভারের এনাম মেডিক্যাল থেকে সামিয়ার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এঘটনায় তিনজনের নামে মামলা করে নিহতের বাবা মিজানুর রহমান।
নিহত সামিয়া আক্তার মানিকগঞ্জ জেলার সিঙ্গায়ের থানার মিজানুর রহমানের মেয়ে। ৫ বছর আগে হৃদয়ের সঙ্গে পারিবারিকভাবে সামিয়াকে বিয়ে দেওয়া হয়। সামিয়ার দুই বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
সামিয়ার ছোট মামা আশিকুর রহমান ইছা জানান, বিয়ের সময় সামিয়ার বাবা ও মামারা মিলে ২৫ ভরি স্বর্ণের গহনা, মোটরসাইকেল ও তিন লাখ টাকার ফার্নিচার দিয়েছিলেন। বিয়ের পরপরই কৌশলে শাশুড়ি জায়েদা পারভিন সামিয়ার গহনা হাতিয়ে নেন। স্বর্ণের গহনা নিয়ে শ্বশুর-শাশুড়ি ও স্বামীর সঙ্গে মাঝে মাঝে কথা কাটাকাটি হতো সামিয়ার। গহনা নিয়ে কথা বললেই সামিয়াকে মারধর করা হতো।
আশিকুর রহমান বলেন, গতকাল বেলা তিনটার দিকে সামিয়া ফোন করে আমাদের জানায় ওকে (সামিয়া) মারধর করছেন ওর স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ি। বেলা তিনটা ৩৭ মিনিটে সামিয়ার স্বামী আমাদের ফোনে জানায় সামিয়া স্টোক করেছে তাকে এনাম মেডিক্যালে নেওয়া হয়েছে। এনাম মেডিক্যালে গিয়া আমরা মরদেহ দেখতে পাই। স্বর্ণ নিয়ে কথা বলায় ওরা সামিয়াকে হত্যা করেছে। আমি হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও ফাঁসি চাই।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) কাজী মাইনুল ইসলাম বলেন, সামিয়াকে হত্যার অভিযোগে তার স্বামী সাদনাম সাকিব হৃদয়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। এঘটনায় সামিয়ার শ্বশুর জাকারিয়া হোসেন ও শাশুড়ি জায়েদা পারভিনকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।