নিহতদের মধ্যে একজন বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার দাড়িয়া বারইডাঙ্গা গ্রামের গফুর শেখের ছেলে আসাদুল শেখ (৩৬)। অপরজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদুর রহমান জানান, গত এক মাসে বীড়গ্রামের ৬টি গরু চুরি হয়ে যায়। এসব ঘটনার পর থেকে গ্রামের লোকজন চোর ধরতে নিয়মিত পাহারা দিতেন। রোববার দিনগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে বীড়গ্রামের রেবো বিশ্বাসের বাড়িতে গলে তিনি চোর চোর বলে চিৎকার করে ওঠেন। পরে আশপাশের লোকজন তাদের ধাওয়া দিলে কয়েকজন পালিয়ে যান।
তবে দুজনকে ধরে গণপিটুনি দিয়ে স্থানীয়রা তাদের সড়কের পাশে রেখে চলে যান। সকালে খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।
স্থানীয় কলোড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আশিস কুমার বিশ্বাস জানান, দিনের বেলায় ফেরিওয়ালা সেজে এরা কম্বল, থালা-বাটি ও অন্যান্য মালামাল বিক্রি করে খোঁজখবর নিতেন। পরে রাতের বেলা চুরি করতেন তারা। গত কয়েকদিনে গ্রামের ৫-৬টি গরু চুরি হয়। এ ঘটনার পর থেকে গ্রামবাসী পাহারা দেন।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান বলেন, নড়াইলে গরু চুরি বেড়ে যাওয়ায় পুলিশ সুপার বিভিন্ন এলাকায় মিটিং করে পাহারায় ব্যবস্থা করেছেন।
তারই ধারাবাহিকতায় গতরাতে গ্রামবাসী এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী মামলা করবে।