খুলনার একটি আবাসিক হোটেলে নারী ধর্ষণের অভিযোগে খুলনা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই জাহাঙ্গীর আলমকে (৪৪) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে ভুক্তভোগীর করা মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বিকালে বাগেরহাটের মোংলা থেকে ১১ বছর বয়সী শিশু কন্যা ও এক ভাগনেকে নিয়ে ডাক্তার দেখানোর জন্য খুলনায় আসেন ওই নারী। ডাক্তারের সিরিয়াল না পাওয়ায় রাতে থাকার জন্য সুন্দরবন আবাসিক হোটেলের তৃতীয় তলার ৩১৩ নম্বর রুমে মেয়েকে নিয়ে ওঠেন। আর ভাগনে অন্য রুমে ওঠেন। রাত সোয়া ২টার দিকে হোটেল বয়কে নিয়ে পুলিশ পরিচয়ে রুমে প্রবেশ করে মো. জাহাঙ্গীর আলম। ওই নারীর সঙ্গে থাকা মেয়েটি কার জিজ্ঞাসা করতে থাকেন। তিনি নিজের মেয়ে পরিচয় দিলে জাহাঙ্গীর বিশ্বাস করতে চাননি। এরপর হুমকি-ধমকি দিয়ে হোটেল বয়কে রুম থেকে তাড়িয়ে দেন। রাত আড়াইটার দিকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন। এসময় নারী ও তার মেয়ের চিৎকারে হোটেল বয় ও অন্যরা এগিয়ে আসলে জাহাঙ্গীর পালিয়ে যান। পরে ভাগনে সব শুনে হোটেল মালিক মিশারুল ইসলাম মনিরকে বিষয়টি জানালে মেইন গেট তালাবন্ধ করে পুলিশে সংবাদ দেন। পুলিশ এসে ওই নারীকে উদ্ধার করে আসামিকে আটক করে।
খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন জানান, জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেফতার দেখিয়ে বুধবার সকালে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগী নারীকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।