কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের নির্যাতনের শিকার হয়ে বিয়ের তিন মাসের মাথায় ফাতেমাতুজ জোহরা ওরফে রোকসানা (১৮) নামের এক নববধূর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর বাবা বাদী হয়ে জামাতা সাইফুল ইসলামকে প্রধান করে সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পুলিশ গতকাল শুক্রবার রাতেই সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি শুভ রঞ্জন চাকমা।
নিহতের বড় বোন রাশেদা আকতার বলেন, ‘শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সাইফুল আমার বাবার মোবাইল ফোনে কল দিয়ে বলে, রোকসানার অবস্থা খারাপ। তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আমরা খবর পেয়ে দ্রুত চৌদ্দগ্রাম সরকারি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে গিয়ে দেখি রোকসানার মরদেহ পড়ে আছে। খবর পেয়ে চৌদ্দগ্রাম থানার পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। ’
নিহত রোকসানার মা হোসনে আরা বেগম অভিযোগ করে বলেন, ‘বিয়ের পরদিন থেকে যৌতুকের জন্য মেয়ের ওপর নির্যাতন শুরু হয়। এরই জের ধরে আমার মেয়ের হাতের মেহেদির দাগ মুছে যাওয়ার আগেই শ্বশুরবাড়ির লোকজন পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করেছে। ’
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শুভ রঞ্জন চাকমা বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর স্বামী সাইফুলকে রাতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।