English

21 C
Dhaka
মঙ্গলবার, ডিসেম্বর ২৪, ২০২৪
- Advertisement -

কসাই দিয়ে মাংস টুকরো টুকরো করা হয় এমপি আনারের

- Advertisements -

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে জিহাদ হাওলাদার (২৪) নামের ১ যুবককে গ্রেপ্তার করেছে ভারতের সিআইডি। তিনি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী এবং পেশায় একজন কসাই। অবৈধভাবে মুম্বাইয়ে বাস করতেন তিনি।

গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, জিহাদের বাড়ি খুলনা জেলার দিঘলিয়া থানায়। তার বাবার নাম জয়নাল হাওলাদার। তবে জিহাদ বসবাস করতেন ভারতের মুম্বাই শহরে। সেখানে তিনি একটি মাংসের দোকানে কসাইয়ের কাজ করতেন।

জানা গেছে, পরিকল্পিত নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক আখতারুজ্জামানের কলকাতায় যাওয়ার দুই মাস আগেই জিহাদকে ডেকে আনা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে জিহাদ স্বীকার করেছে, আখতারুজ্জামানের নির্দেশে তিনিসহ চারজন এমপি আনারকে ফ্ল্যাটে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

আরও জানা গেছে, এমপিকে হত্যার পরে তার শরীর থেকে মাংস এবং হাড় আলাদা করে ফেলা হয়। মূলত পরিচয় নষ্ট করার জন্য এমপির মাংস কিমা করে তা প্লাস্টিকের ব্যাগে রাখা হয়। আর হাড়গুলোকে ছোট ছোট টুকরো টুকরো করে তারা। পরে ওই ব্যাগগুলো ফ্ল্যাট থেকে বের করে নানা ধরণের পরিবহন ব্যবহার করে কলকাতার বিভিন্ন অঞ্চলে ফেলে দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, অভিযুক্ত জিহাদ হাওলাদারকে নিয়ে বৃহস্পতিবার প্রায় মধ্যরাত পর্যন্ত কলকাতাজুড়ে তল্লাশি চালিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের গোয়েন্দা পুলিশ।

মূলত পশ্চিমবঙ্গের গোয়েন্দা পুলিশ এমপি আনার হত্যার রহস্য শেষ করতে চাইছে। ইতোমধ্যে ঢাকা ও কলকাতার গোয়েন্দা বিভাগ জানে কীভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছিল। এখন প্রয়োজন দেহাংশ উদ্ধার করা অথবা দেহাংশ সরাতে ব্যবহৃত প্লাস্টিক বা ট্রলি কোথায়, তা জানা। তবে পুলিশের ধারণা, দেহাংশ উদ্ধার এক প্রকার অসম্ভব।

পুলিশ জানায়, মরদেহ একেবারে কিমার মতো টুকরো করা হয়েছিল। হাড়গুলোরও ছোট ছোট টুকরো করা হয়েছিল। ফলে মরদেহের সব অংশ উদ্ধার একপ্রকার অসম্ভব। কীভাবে মাস্টারপ্ল্যান সাজিয়ে অপরাধীরা মরদেহের বিভিন্ন অংশ কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে ফেলেছিল, তা দেখতে চায় পুলিশ। এ কারণে বৃহস্পতিবার রাতে জিহাদকে নিয়ে চলে তল্লাশি। তবে অন্ধকার থাকার কারণে তা বেশিক্ষণ চালানো সম্ভব হয়নি।

পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের বক্তব্য যাচাই করতে এবং শরীরের বাকি অংশগুলো উদ্ধার করতে জিহাদকে বারাসাত আদালতে তুলে রিমান্ড চাওয়া হবে।

হত্যাকাণ্ডের তথ্যের খোঁজে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জিহাদকে হেফাজতে নেওয়ার চিন্তা করছেন তদন্তকারীরা।

এদিকে আনোয়ারুল আজীমকে হত্যা করা হয়েছে সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেলেও এখনও তার মরদেহ উদ্ধার করা যায়নি।

ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা শাখা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ গতকাল বলেছেন, আশা করছি খুব শিগগিরই তারা (ভারতীয় পুলিশ) হত্যার শিকার ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের মরদেহ উদ্ধারে সক্ষম হবেন।

পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ বলছে, গত ১২ মে ভারতে যান আনার। তার অন্তত ১০ দিন আগেই কলকাতায় অবস্থান করেন অভিযুক্তরা। ছিলেন ধর্মতলার কাছে সদর স্ট্রিটের একটি হোটেলে। ওই হোটেলের নথি অনুযায়ী, ২ মে থেকে সেখানে থাকছিলেন ফয়সাল এবং মুস্তাফিজুর নামে দুই ব্যক্তি। পরে মুস্তাফিজুরসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ভারতীয় তদন্তকারীদের ধারণা, আনারকে হত্যা করার পরিকল্পনা অনেক পুরোনো। আর সেজন্য অনেকদিন আগেই কলকাতায় যান ফয়সাল এবং মুস্তাফিজুর। কাজ মিটে গেলে হোটেল ছেড়ে দেন তারা।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন