নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় আলমগীর হোসেন (২৯) নামের অপহৃত এক ইন্স্যুরেন্সকর্মীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় অপহরণ চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।
রোববার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদের জেলা কারাগারে পাঠায় পুলিশ। ভুক্তভোগী আলমগীর সদর উপজেলার বারুহাট গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে।
গ্রেফতাররা হলেন- উপজেলার আহম্মেদপুর বালিয়া এলাকার আব্দুল কুদ্দুছের ছেলে নাফিউল ইসলাম (৩৩), মুক্তার হোসেনের ছেলে জুয়েল রানা (৩০), আবুল কালামের ছেলে আমিনুল ইসলাম (২০), আলিফ শেখের স্ত্রী সোহাগী বেগম ও নলডাঙ্গা থানার মাধনগর গ্রামের মারুফ হোসেনের স্ত্রী প্রিয়াংকা খাতুন (১৯)।
নাটোর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাদাত বলেন, শনিবার বিকেলে প্রিয়াংকা আলমগীরকে মোবাইল ফোনে ইন্স্যুরেন্স করার কথা বলে আহম্মেদপুর বাজারে ডেকে নেন। প্রিয়াংকাসহ কয়েকজন তাকে একটি বাড়িতে আটকে রাখেন। পরে আলমগীরের মোবাইল থেকে বন্ধু শহিদ রানার নম্বরে ফোন করে ২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। তাদের দেওয়া বিকাশ নম্বরে ১০ হাজার টাকা পাঠান শহিদ রানা।
ওসি আরও বলেন, ডিবিকে বিষয়টি জানালে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় সংশ্লিষ্ট বিকাশের দোকান শনাক্ত করা হয়। আহম্মেদপুর বাজারে ওই বিকাশের দোকানে অভিযান চালানো হয়। পুলিশের উপস্থিতি বুঝতে পেরে মোটরসাইকেল নিয়ে নাফিউল ও জুয়েল রানা পালানোর চেষ্টা করেন। পুলিশ ধাওয়া দিয়ে তাদের আটক করে। তাদের দেওয়া তথ্যে নওপাড়া গ্রামের আলিফ শেখের বাড়ি থেকে আলমগীরকে উদ্ধার করা হয়। একই সঙ্গে আমিনুল ইসলাম, সোহাগী বেগম ও প্রিয়াংকা খাতুনকেও আটক করা হয়। কৌশলে বাড়ির মালিক আলিফ শেখ পালিয়ে যান। এ ঘটনায় বড়াইগ্রাম থানায় একটি মামলা হয়েছে।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সিদ্দিক বলেন, আটকদের গ্রেফতার দেখিয়ে রোববার জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। পলাতক আসামিকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।