প্রবাসী কিংবা বিদেশ ভ্রমণকারীদের টার্গেট করে সক্রিয় হয়ে উঠেছে প্রতারক চক্র। বিভিন্ন সময় লোভনীয় অফারের প্রচারণা চালাচ্ছে তারা। অনলাইনে এসব প্রচারণার ফাঁদে পা দিয়ে অনেকেই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এজেন্ট ব্যাংকিং বা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে হচ্ছে লেনদেন। অনলাইনেই দেওয়া হচ্ছে এয়ার টিকিট। কিন্তু ফ্লাইটের দিন বিমানবন্দরে গিয়ে যাত্রী বুঝতে পারছেন তার টিকিটটি ভুয়া। এভাবে মানুষকে ফাঁদে ফেলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতারক চক্র।
ইতোমধ্যে এ বিষয়ে সতর্ক করতে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ। সংগঠনের মহাসচিব আফসিয়া জান্নাত সালেহ’র সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কিছু চক্র ট্রাভেল এজেন্সির নামে বিভিন্ন সময় ফেসবুক, সোশ্যাল মিডিয়াসহ ওয়েবসাইটে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত মূল্য ছাড়ে এয়ার টিকিট বিক্রির প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে ক্রেতাদের প্রলুব্ধ করছে। প্রকৃতপক্ষে কোনও এয়ারলাইন্স কখনোই ১৫ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশ ছাড় দেয় না। এছাড়াও কিছু কিছু এজেন্সি ব্যালেন্স টপআপে ক্যাশব্যাক অফারের মাধ্যমে বিটুবি ও বিটুসিদের কাছে টিকিট বিক্রির নামে অগ্রিম অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। কিন্তু কোনও এয়ারলাইনসেই টপআপ ও ক্যাশব্যাক এ ধরনের কোনও প্রচলন নেই। ফলে এ সব অপচর্চা এয়ারলাইন্স ও ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসায়ীদের জন্য হুমকি। এ ধরনের লোভনীয় মূল্য ছাড়ের বিজ্ঞাপন সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও হীন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কোনও কোনও ক্ষেত্রে তারা কম মূল্যের লোভনীয় টিকিট ও ভ্রমণ প্যাকেজ বিক্রির ফাঁদে ফেলে ভ্রমণপিপাসু যাত্রী, প্রবাসী ও এজেন্টদের থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়ে উধাও হয়ে যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, হালট্রিপ, ২৪টিকেট ডটকম, লেটস ফ্লাই নামে অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সিগুলো যাত্রীদের বিপুল পরিমাণ টাকা নিয়ে উধাও হয়েছে। এ কারণে যাত্রী, এজেন্সি ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে এয়ার টিকিট, ভ্রমণ প্যাকেজ কেনার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। আকর্ষণীয় মূল্যছাড় ও লোভনীয় প্যাকেজের ফাঁদে পা না দিয়ে প্রতিষ্ঠিত, বৈধ লাইসেন্সধারী ট্রাভেল এজেন্সির কাছ থেকে উপযুক্ত মূল্য যাচাই করে প্রয়োজনীয় সেবা গ্রহণ করা উচিত।