জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ট্রেড মার্ক এবং বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস টেস্টিং ইন্সটিউশন (বিএসটিআই)’র লোগো ও নাম ব্যবহার করে বাজারজাত করা হচ্ছে মানহীন লাচ্ছা সেমাই। অনুমোদন আছে বলে দাবী করলেও দেখাতে পারেনি সনদ। উপজেলার সোনামুখী ইউনিয়নের চকরঘুনাথ গ্রামের নিভৃত পল্লীতে ‘ছক্কা ফুড প্রোডাক্টস’ নাম দিয়ে তৈরী হচ্ছে এসব লাচ্ছা সেমাই।
সরেজমিনে সেমাই কারখানায় গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার নিভৃত পল্লীতে ‘ছক্কা ফুড প্রোডাক্টস’ নাম দিয়ে দেলোয়ার হোসেন নামের এক ব্যক্তি লাচ্ছা সেমাইয়ের কারখানা খুলেছেন। তাদের দাবী ট্রেড মার্ক এবং বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস টেস্টিং ইন্সটিউশন (বিএসটিআই)’র অনুমোদন নিয়েই বিধি মোতাবেক স্থাপন করা হয়েছে কারখানাটি। এবিষয়ে জানতে চাইলে, সরকারী কোন প্রতিষ্ঠানের সনদ দেখাতে পারেননি তারা। প্রতিবছর রমজান এবং ঈদকে কেন্দ্র করে সেমাই উৎপাদন করে প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিষ্ঠানটিতে রাত দিনে ৩০ থেকে ৩৫ জন শ্রমিক করোনা স্বাস্থ্য বিধি উপেক্ষা করে মুখে মাস্ক না পড়ে কাজ করছেন প্রতিনিয়ত। কারখানায় দেখা যায়, শ্রমিকরা হাতে গ্লোবস ব্যাবহার না করে প্রচন্ড গরমের মধ্যে কাজ করছেন, এতে তাদের শরীরের ঘাম সেমাইয়ের সাথে মিশে যাচ্ছে অনায়াসেই।
প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘আমরা নিয়ম মেনেই এবং বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস টেস্টিং ইন্সটিউশন (বিএসটিআই)’র এবং ট্রেডমার্ক নিয়ে কারখানায় সেমাই তৈরী করছি’।
প্রতিষ্ঠানটির মালিক দেলোয়ার হোসেন মুঠোফোনে বলেন, ‘বিএসটিআই’র অনুমোদন নেওয়ার জন্য আবেদন করেছি। বিএসটিআই কর্তৃপক্ষ লোগো ব্যবহারের মৌখিক অনুমতি দেওয়ায় প্যাকেটে লোগো ব্যবহার করছি। এখনো লাইসেন্স পাইনি’।
উপজেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর সামছুন নাহার বলেন, ইতিপূর্বে আমি কারখানাটি পরিদর্শন করেছি। তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে’।
ভোক্তা অধিকার সমন্বয়ের উপ-পরিচালক দেবাশীষ রায় বলেন, ‘অনুমোদন বা লাইসেন্স ছাড়া কেউ বিএসটিআই’র সীল বা লোগো ব্যবহার করতে পারবে না। উৎপাদিত পণ্যের খাদ্যের গুণগত মান প্যাকেটের গায়ে উল্লেখ থাকতে হবে। ছক্কা ফুড প্রোডাক্টসের বিষয়ে গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে’।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস.এম হাবিবুল হাসান বলেন, ‘এ বিষয়ে স্যানিটারী ইন্সপেক্টর কে তদন্ত করার জন্য বলা হয়েছে। তদন্তে অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে তাৎক্ষণিক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে’।