রাজবাড়ী- রাজবাড়ীর কালুখালীতে চাচাতো দুলাভাইয়ের (২৭) বিরুদ্ধে নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ ও দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে বিক্রি চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক ও ওই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (৯ জানুয়ারি) সকালে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ওই স্কুল ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির নাম মাসুদ ফকির। তিনি কালুখালী উপজেলার দূর্গাপুর এলাকার আব্দুল জলিল ফকিরের ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর সঙ্গে কালুখালীর সানি নামে এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। বৃহস্পতিবার রাতে চাচাতো বোনের স্বামী মাসুদ ফকির স্কুলছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে তাকে সানির সঙ্গে দেখা করিয়ে দেওয়ার কথা বলে কালুখালী রেলওয়ে স্টেশনে নিয়ে যান। পরে স্টেশনের পাশের একটি বাড়িতে আটকে রেখে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন।
পরে শুক্রবার সকালে সানি গোয়ালন্দ ঘাট (দৌলতদিয়া) রেলওয়ে স্টেশনে আছেন বলে ওই ছাত্রীকে নিয়ে আসেন মাসুদ। পরবর্তীতে মাহেন্দ্রাযোগে দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর এক নম্বর গেটের সামনে নিয়ে আসলে অজ্ঞাত দুই ব্যক্তি এসে মাসুদ ফকিরের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় ওই ব্যক্তিরা মাসুদ ফকিরকে কিছু টাকা দেন। পরবর্তীতে তিনি স্কুলছাত্রীকে নিয়ে পতিতাপল্লীর ভেতর রওনা হন।
কিছু দূর যাবার পর পল্লীর মেয়েদের দেখে ওই স্কুলছাত্রীর সন্দেহ হয় এবং সে ভেতরে যেতে আপত্তি করে। সে সময় জোর করে ভেতরে নেওয়ার চেষ্টা করলে স্কুলছাত্রী চিৎকার করে। তখন স্থানীয়রা ওই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার ও মাসুদ ফকিরকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর কলেন, কালুখালীর এক স্কুলছাত্রীকে কৌশলে তার চাচাতো দুলাভাই বাড়ি থেকে নিয়ে এসে ধর্ষণ করেন। পরে ওই ছাত্রীকে যৌনপল্লীতে বিক্রির চেষ্টা করেন তিনি। সে সময় স্থানীয়রা ওই ব্যক্তিকে আটক ও স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে পুলিশে দেন। এ ঘটনায় ওই স্কুলছাত্রীর বাবা থানায় অভিযোগ করেছেন।