পাবনার ভাঙ্গুড়ায় এক গৃহবধূকে উত্ত্যক্তের ঘটনায় দুইপক্ষের সংঘর্ষে তোরাপ আলী (৮০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ সময় নারীসহ কমপক্ষে ১২ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বুধবার রাতে তোরাপ আলীর মৃত্যু হয়। এর আগে, গতকাল সকালে উপজেলার খাঁন মরিচ ইউনিয়নের দাসবেলাই গ্রামে ঘটনা ঘটে। পুলিশ এ ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করেছে।
আহতরা হলেন দাসবেলাই গ্রামের আব্দুল গফুর (৫৫), মমিন (৩৫), মমেনা খাতুন (৪০),নজরল (৪০), জহির (৬০), আলাউদ্দিন (৩০), বাছিয়া খাতুন (৪০), মফিদুল (৩৫), শহিদুল (৩০), আনিছুর (৩৫) ও রহুল আমিন (৫০)। তাদের মধ্যে তোরাব আলী (৮০) ও ফজলুকে (৪০) রামেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছিল।
জানা গেছে, গফুর আলীর পরিবারের এক গৃহবধূকে একই গ্রামের মৃত আছান আলীর ছেলে মফিদুল ইসলাম কয়েকদিন আগে উত্যক্ত করে। এতে গফুর আলী গ্রামের প্রধান আবু জল প্রামানিক ও বেলাল হাজীর কাছে বিচার প্রর্থনা করেন। কিন্তু গ্রাম প্রধানগণ অভিযুক্ত মফিদুল ইসলামের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে গফুর আলীর বাড়িতে গিয়ে গতকাল বুধবার সকালে বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি না করতে হুঁশিয়ারি দেন। ফলে উভয়পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
এসময় পূর্ব প্রস্তুতি অনুযায়ী মফিদুল ইসলাম ধারালো ছুড়ি ও লাঠিসোঁটা নিয়ে গফুর আলীর বাড়ির পেছনে অপেক্ষা করছিল। বেলাল হাজী ও আবুজল হুংকার দিয়ে তাদের ডাকা মাত্র ২০/২৫ জন গফুর গংদের ওপর আক্রমণ করে। হামলাকারীরা তোরাপ আলী ও ফজলুল হককে কুপিয়ে জখম করে এবং একই পরিবারের গফুর আলীসহ অপর ১৩ জনকে পিটিয়ে আহত করে।
চিকিৎসাধীন গফুর আলী বলেন, ‘খানমরিচ ইউনিয়নের ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি বোলল হাজীর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে তাদের বাড়ির ওপর এসে অতর্কিত হামলা করে পরিবারের ৯-১০ জনকে জখম করেছে।’
এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহম্মদ আনোয়র হোসেন বলেন, ‘পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ভুক্তভোগী পরিবারের রত্না নামে এক নারী ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের পরপরই পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।’
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন