English

23 C
Dhaka
শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪
- Advertisement -

কোচিং সেন্টারে একাধিকবার ছাত্রীকে ধর্ষণ! অত:পর…

- Advertisements -

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে একটি কোচিং সেন্টারে তারেকুর রহমান নামে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। একাধিকবার ধর্ষণে ওই ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়।
রোববার (৪ অক্টোবর) এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা কুমিল্লা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩নং আদালতে অভিযুক্ত শিক্ষকসহ ৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ৩নং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. রফিকুল ইসলাম অভিযোগের বিস্তারিত শুনানির পর মামলাটি আমলে নিয়ে চৌদ্দগ্রাম থানাকে তদন্তসহ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করার আদেশ দেন।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নিশাত সালাউদ্দিন।
অভিযুক্ত শিক্ষক তারেকুর রহমান চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের মৃত রেজাউর রহমান চৌধুরীর ছেলে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, অভিযুক্ত শিক্ষক তারেক ওই স্কুলছাত্রীর খালাতো ভাই। ছুটির পর কোচিং সেন্টারে পড়ার নামে রেখে ওই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করেন অভিযুক্ত শিক্ষক তারেকুর। এ সময় ধর্ষণের ছবি ধারণ করে রাখেন তিনি। পরে এসব ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে আরও কয়েকবার ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন তারেকুর।
গত ২৪ এপ্রিল সপ্তম শ্রেণির ওই ছাত্রী হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। স্থানীয় চিকিৎসকদের পরামর্শে ফেনী জেলা সদরের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নেয়া হয়। সেখানে আল্ট্রাসনোগ্রাম করালে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার রিপোর্ট আসে।
ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রী জানায়, কোচিং সেন্টারে পড়ার সময় তারেকুর রহমান চৌধুরী তাকে ব্ল্যাকমেইল করে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। কিন্তু লোকলজ্জার ভয়ে এ ঘটনা সে কাউকে বলেনি।
এদিকে ধর্ষণের ঘটনার বিচার চাইতে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানান ওই শিক্ষার্থীর বাবা। এই নিয়ে গত ৩০ এপ্রিল সালিশ বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় অন্তঃসত্ত্বা ছাত্রীকে বিয়ে করতে হবে ধর্ষক তারেকুরকে। তারেক তাতে রাজি হয়ে আশ্বাস দেন বাচ্চা ভূমিষ্ট হওয়ার পর বিয়ে করবেন। কিছুদিন অতিক্রম হলে বাচ্চা নষ্ট করার জন্য চাপ দিয়ে ব্যর্থ হন তারেক।
গত ১২ আগস্ট ওই ছাত্রী একটি ছেলে সন্তান প্রসব করে। কিন্তু বিয়ের পূর্ব প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী গত ২৫ সেপ্টেম্বর আবারও সালিশ বৈঠক বসলে ধর্ষক ও তার স্বজনরা বিয়েতে অস্বীকৃতি জানান। পরে রোববার (০৪ অক্টোবর) ভুক্তভোগীর বাবা তারেকুরসহ ৫ জনকে আসামি করে আদালতে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন, চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের জসিম উদ্দিন, তারেকুর রহমানের ভাই তৌফিকুর রহমান, তৌহিদুর রহমান ও রমজান আলী ভূঁইয়া।
বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নিশাত সালাউদ্দিন জানান, অভিযোগের বিস্তারিত শুনানির পর মামলাটি আমলে নিয়ে চৌদ্দগ্রাম থানাকে তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের আদেশ দিয়েছেন বিচারক। আশা করি ওই ছাত্রী ন্যায়বিচার পাবে।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন