পটুয়াখালীর গলাচিপায় ৬০ বছরের এক বৃদ্ধা ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। অভিযুক্তের নাম শহিদুল হাওলাদার (৩৫)।
নির্যাতনের শিকার ওই বৃদ্ধা বর্তমানে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ঘটনার পরদিন (২৫ এপ্রিল) গলাচিপা থানায় ভুক্তভোগী বৃদ্ধার ছেলে বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ করেন। তবে অভিযোগের ৭ দিন পর আজ বুধবার (৩ মে) মামলাটি নথিভুক্ত করেছে পুলিশ।
মামলা সত্যতা নিশ্চিত করেছেন গলচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ শোনিত কুমার গায়েন।
তিনি বলেন, অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। ৩ মে মামলা দায়ের হয়েছে। আসামি গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
ধর্ষনের শিকার ওই নারীর ছেলে রহমত উল্লাহ বলেন, ‘গত ২৪ এপ্রিল রাতে মা বাড়িতে একা অবস্থান করছিলেন। রাত অনুমানিক ১টার দিকে পাশের বাড়ির শহিদুল হাওলাদার (৩৫) তার মায়ের ঘরের জানালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে মাকে ধর্ষণ করে। এ সময় মায়ের মা ডাক-চিৎকার দিলে আশপাশের ঘরের লোকজন এগিয়ে আসে। এ সময় ধর্ষক শহিদুল ঘরের পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যায়। ’
তিনি জানান, ধর্ষণের ফলে মায়ের রক্তক্ষরণ শুরু হলে প্রথমে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। ২৫ এপ্রিল গলাচিপা থানায় লিখিত অভিযোগ করলেও থানা পুলিশ কোনো ব্যবস্থা গ্রহল করেনি। বর্তমানে অভিযুক্ত শহিদুল হাওলাদার পলাতক রয়েছেন বলেও জানান রহমত উল্লাহ।
অভিযোগের সাত দিন পর মামলা গ্রহণের বিষয়ে জানতে চাইলে গলাচিপা থানার ওসি বলেন ‘মামলাটি তদন্ত করতে সময় লেগেছে। ’
এদিকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. দিলরুবা ইয়াসমিন লিজা বলেন, ‘নির্যাতনের শিকার ওই নারীর প্রয়োজনীয় চিকিৎসা এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। যথা সময়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।