লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে ১৪ লিটার দুধের সঙ্গে ২৬ লিটার পানি মেশানোর অভিযোগে বিক্রেতা ফারুক হোসেনকে জরিমানা করা হয়েছে। ফারুক উপজেলার জগতপুর ইমি ডেইরি ফার্মের কর্মচারী। ওই ফার্ম থেকেই দুধ এনে বিক্রি করছিলেন তিনি।
মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে হাবীবা মীরা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সোমবার (১০ এপ্রিল) রাতে রামগঞ্জ পৌর শহরের ওয়াপদা সড়কের চৌরাস্তা এলাকায় ভেজাল দুধ বিক্রি করার সময় ফারুককে স্থানীয়রা আটক করে। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে হাবীবা মীরা, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রাকিবুল হাসান ও রামগঞ্জ পৌরসভার সেনেটারি ইন্সপেক্টর আলমগীর হোসেন ঘটনাস্থল আসেন। পরে দুধ পরীক্ষা করলে ৮০ শতাংশেরও বেশি পানি মেশানোর সত্যতা পাওয়া যায়।
ফারুকের বরাত দিয়ে উপজেলা প্রশাসন জানায়, ফারুক জগতপুর ইমি ডেইরি ফার্ম থেকে দুধ এনে বাজারে বিক্রি করে। প্রতিদিন সন্ধ্যায় তাকে খামার থেকে ৪০ লিটার দুধ বিক্রি করার জন্য দেওয়া হয়। লিটার প্রতি এ দুধ ৫০ থেকে ৭০ টাকা দরে বিক্রি করা হয়। এ খামার থেকে উপজেলা শহরে প্রতিদিন ২৫০ থেকে ৩০০ লিটার দুধ বিক্রি হয়। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় তাকে ৪০ লিটার দুধ দেওয়া হয়।
তবে এর মধ্যে ১৪ লিটার দুধ ও বাকি ২৬ লিটার পানি মেশানো হয়েছে বলে ফারুক নিজেই উপস্থিত লোকজনকে জানিয়েছে। একপর্যায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ফারুককে এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
পরে অপ্রাপ্ত বয়সী ফারুককে সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হয়। জব্দ করা পানি মেশানো দুধ স্থানীয় মোহাম্মদিয়া মাদরাসা ও এতিমখানায় দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে বিষয়টি জানতে ফার্মের মালিক বাচ্চু মিয়ার মোবাইলফোনে একাধিকবার কল করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে তিনি সাংবাদিকদের জানান, মানুষ বেশি দামে দুধ কিনতে চায় না। তারা ৩০ থেকে ৪০ টাকায় কিনতে চায়। এ জন্য দুধে পানি মেশানো হয়।
রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে হাবীবা মীরা বলেন, আটক ছেলেটির বয়স কম হওয়ায় জরিমানার পর সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।