রাজশাহীর তৃতীয় লিঙ্গের ১৩ জনের সরকারি ভাতা প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছে একটি সাইবার প্রতারক চক্র। হিজড়াদের আত্ম-উন্নয়নমূলক সংগঠন দিনের আলোর সভাপতি মোহনা মঈন সবার পক্ষ থেকে থানায় জিডি করেছেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, সরকার হিজড়াদের জন্য তিন মাস পর পর এক হাজার ৮০০ টাকা করে ভাতা প্রদান করে। রাজশাহীর ৬১ জন হিজড়া এ ভাতা পান। প্রতিবার ভাতা প্রদান করা হয় নগদ হিসাবে। অক্টোবর মাসের ভাতার এসএমএস আসতে বিলম্ব হয়। তারা রাজশাহী সমাজসেবা অফিসে খোঁজ নেন। সেখান থেকে জানানো হয় ভাতা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মোবাইল ফোনে এসএমএস পাঠানো হবে।
এদিকে গত ৩ ডিসেম্বর ঢাকা সমাজসেবা অফিসের কর্মকর্তা পরিচয়ে এক ব্যক্তি তাদের ফোন করেন। ফোনে বলা হয় প্রতিটি হিসাবের ওটিপি (ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড) লাগবে টাকা পাঠানোর জন্য। হিজড়ারা সরল বিশ্বাসে তাদের নগদ হিসাবের ওটিপি দিয়ে দেন। ওই দিন বিকাল ৩টার দিকে প্রত্যেকের নগদ হিসেবে এক হাজার ৮০০ টাকা করে জমা হয়। কিন্তু ৫ মিনিটের মাথায় ১৩ জনের প্রত্যেকের নগদ হিসাবের ব্যালান্স শূন্য হয়ে যায়। প্রতারকরা তাদের ১৩ জনের হিসাব থেকে মোট ২৩ হাজার ৪০০ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
হিজড়া সরদার মোহনা মঈন আরও জানান, তারা ওটিপি কাউকে দিতে হয় না, এ বিষয়ে সচেতন ছিলেন না। এ গোপন পাসওয়ার্ড দিয়ে তাদের হিসাব থেকে সব টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক চক্র। এমনটি আর করবেন না।
আরএমপির বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম জানান, এটি সাইবার প্রতারণামূলক একটি কাজ। এ প্রতারণার সঙ্গে সমাজসেবা অফিসের কেউ না কেউ জড়িত রয়েছেন। সাইবার ক্রাইম ইউনিটের মাধ্যমে ঘটনাটি তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রতারক চক্র ধরা পড়বে বলে আশা করছি।