হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জানা গেছে, মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া মাদ্রাসা থেকে দুপুর ১২টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর মামুনুলকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনারের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফর সাম্প্রতিক সহিংসতা ও রিসোর্টকাণ্ডে রাজধানীর পল্টন থানা ও নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় দুটি মামলা হয়েছে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে। এছাড়া, ২০১৩ সালের শাপলা চত্বর তাণ্ডবের ঘটনাতেও তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা আছে।
মামুনের গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপ কমিশনার হারুন অর রশীদ।
গত ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানাধীন রয়েল রিসোর্টে নারী সঙ্গীসহ স্থানীয় লোকজনের হাতে আটক হওয়ার পর ছাড়া পেয়ে রাতেই ঢাকায় চলে আসেন তিনি। ঢাকার মোহাম্মদপুরের কাদিরাবাদ হাউজিংয়ের নিজ বাসায় না গিয়ে তিনি পাশেই জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায় যান মামুনুল হক। সেখানেই অবস্থান করছিলেন। তার বিরুদ্ধে রাজধানীর পল্টন ও নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় একাধিক মামলা হয়েছে। এছাড়া ২০১৩ সালের একাধিক মামলাতেও মামুনুল হক এজাহারভুক্ত আসামি।
মাদ্রাসা থেকে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাকে গ্রেপ্তার করতে পারে এ কারণে । এ কারণে পাশেই নিজের বাসা হলেও তিনি সেখানে যাচ্ছেন না। মাদ্রাসার একটি কক্ষে অবস্থান করে মাঝে মধ্যে ফেসবুকে এসে বক্তব্য দিতেন তিনি। তবে সর্বশেষ লাইভে এসে দ্বিতীয় বিয়ের দাবির সপক্ষে স্ত্রীর কাছে সত্য গোপন করার অবকাশ রয়েছে এমন বক্তব্য দিয়ে নিজ দলের আলেম-ওলামাদের কাছে সমালোচনার শিকার হন তিনি। পরে চাপের মুখে সেই ভিডিও নিজের ফেসবুক আইডি থেকে ডিলিটও করে দেন।
অবশেষে রবিবার দুপুরে মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া মাদ্রাসা থেকেই গ্রেপ্তার হলেন এই হেফাজত নেতা।