বিএনপি-নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে হবিগঞ্জে শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে।
হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজা আক্তার শিমুল জানান, বুধবার দুপুর ২টা থেকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। পুলিশ অন্তত অর্ধশত রাউন্ড রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে। সংঘর্ষে পুলিশসহ কমপক্ষে শতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। এর মধ্যে ২০ জন গুলিবিদ্ধ রয়েছেন।
পুলিশের দাবি, বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা করলে সংঘর্ষ শুরু হয়। আর বিএনপি নেতাকর্মীদের দাবি, সমাবেশে আসতে নেতাকর্মীদের বাধা দিলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার সমাবেশের আয়োজন করে জেলা বিএনপি। শহরের শায়েস্তানগর এলাকায় দলীয় কার্যলয়ের সামনে সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়।
সমাবেশে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জয়নাল আবেদীন ফারুক, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবনসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত থাকার কথা ছিল। বেলা ২টার কিছুক্ষণ আগে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে রওনা হয়। এ সময় শায়েস্তানগর পয়েন্টে তাদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এ সময় উত্তেজিত নেতাকর্মীরা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।
ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন বলেন, সমাবেশে নেতাকর্মীরা আসার পথে পুলিশ বাধা দেয়। এতে করে তাদের সঙ্গে নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। সমাবেশ পণ্ড করার জন্য পুলিশ উসকানিমূলকভাবে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে। পুলিশের গুলি ও হামলায় অন্তত শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
সাবেক চীফ হুইফ জয়নুল আবদিন ফারুকও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির নেতারা।
গুরুতর আহত অবস্থায় জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ রাজীব আহমেদ রিংগন, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আহাদ তুষার, ছাত্রদল নেতা সাইদুর রহমানকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
কেন্দ্রীয় বিএনপির সমবায়বিষয়ক সম্পাদক জিকে গউছ দাবি করেন, পুলিশ সমাবেশ পণ্ড করতে সকাল থেকেই তাদের প্যান্ডেল গুঁড়িয়ে দিয়েছে। জেলা বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজা আক্তার শিমুল বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা ওপর হামলা করলে পুলিশ আত্মরক্ষার্থে রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। বিএনপির নেতাকর্মীদের হামলায় তাদের ৭-৮ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।