টাঙ্গাইলের কালিহাতিতে ইমান হোসেন হত্যাকান্ডের অভিযোগ স্বীকার করেছেন তার স্ত্রী ও স্ত্রীর প্রেমিক। শনিবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শামসুল আলমের আদালতে হাজির করা হলে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এর আগে গত শুক্রবার হত্যার অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- নিহত ইমাম হোসেনে স্ত্রী খাদিজা আক্তার (২১)। তিনি উপজেলার দেউপুর এলাকার জহিরুদ্দিনের মেয়ে। তার পরকীয়া প্রেমিক ভূঞাপুর উপজেলার সিরাজকান্দি এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে সবুর খান বাবু (২০) ও তাদের ভাড়াটিয়া খুনি জনি শেখ (২৫)। তিনি পাবনার বেড়া উপজেলার মহনগঞ্জ এলাকার জালাল মিয়ার ছেলে। জনি শেখকে ভূঞাপুরের গোবিন্দাসী থেকে এবং অপর দুই জনকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
টাঙ্গাইল ডিবি উত্তরের এস.আই জাহাঙ্গীর আলম বলেন, নিহতের বাবা বাদি হয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানায় মামলা করেন। পরে তথ্য জানা যায় পরকীয়া প্রেমের কারণে স্ত্রীর পরামর্শেই ইমান হোসেনকে হত্যা করে মরদেহ কলা বাগানে ফেলে রাখা রাখা হয়। শুক্রবার রাতে গ্রেপ্তারের পর শনিবার আদালতে তোলা হলে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
উল্লেখ্য, ডিসেম্বরের ২৫ তারিখে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধুসেতু মহাসড়কের পাশে উপজেলার সল্লা চরপাড়া এলাকার একটি কলা বাগানে ইমাম হোসেনের লাশ দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।