English

29 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২৮, ২০২৪
- Advertisement -

স্ত্রীর ফাঁদে ফেলে বড়লোকদের ব্ল্যাকমেইল!

- Advertisements -

ঢাকা: ধনাঢ্য ও কর্পোরেট ব্যক্তিদের ‘টার্গেট’ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ত্রী ও তার সহযোগী নারীর আইডি থেকে পাঠানো হতো বন্ধুত্বের অনুরোধ। এরপর বন্ধুত্ব গড়ে ডেকে নেওয়া হতো বাসায় বা হোটেলে।

টার্গেট ব্যক্তিদের বিবস্ত্র করে আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করা হতো। এরপর আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ধারণের পর ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে হাতিয়ে নেওয়া হতো মোটা অঙ্কের টাকা।
গত ২ বছরে এভাবে ফাঁদে ফেলে ধনাঢ্য ও কর্পোরেট অর্ধশতাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে আল মাহমুদ ওরফে মামুন নামের এক ব্যক্তির নেতৃত্বাধীন একটি চক্র।
এক ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) ভোরে রাজধানীর ভাটারা ও দক্ষিণখানে অভিযান চালিয়ে দুই নারীসহ প্রতারক চক্রটির সাত সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১)।

গ্রেফতাররা হলেন- আল মাহমুদ ওরফে মামুন, আকরাম হোসেন ওরফে আকিব, মাস্তুরা আক্তার প্রিয়া, তানিয়া আক্তার, মো. রুবেল, মো. মহসীন ও মো. ইমরান। তাদের কাছ থেকে অশ্লীল ছবি ও গোপন ভিডিও ধারণ কাজে ব্যবহৃত ১৪টি মোবাইল ফোন ও ২টি ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়।

মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে কারওয়ান বাজার র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‍্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন।

তিনি বলেন, সম্প্রতি একজন ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন, গত ২২ জুলাই তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে মাস্তুরা আক্তার প্রিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ হয়। গত ১০ আগস্ট প্রিয়া কৌশলে রাজধানীর একটি আবাসিক এলাকায় তার বান্ধবীর বাসায় নিয়ে যায়।

রুমের ভেতরে ঢোকার পর পরিকল্পিতভাবে প্রিয়া ও তার সহযোগীরা জোরপূর্বক ভিকটিমকে বিবস্ত্র করে আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে। পরবর্তীতে ক্যামেরায় ধারণকৃত এসব অশ্লীল ভিডিও দেখিয়ে ভুক্তভোগীর কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।

ভুক্তভোগীর বিকাশের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক ১ লাখ টাকা ও ব্যাংক চেকের মাধ্যমে ৪ লাখ টাকা জোরপূর্বক হাতিয়ে নেয়।

সামাজিক লোকলজ্জার ভয়ে ভুক্তভোগী ঘটনা চেপে গেলেও এক সপ্তাহ পর গ্রেফতার আল মাহমুদ ভুক্তভোগীর কাছে আরও ২ লাখ টাকা দাবি করেন। দাবি করা দুই লাখ টাকা না দিলে অশ্লীল ভিডিও ও ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখায়।

এরপর ভুক্তভোগী নিরুপায় হয়ে র‍্যাব-১ এর কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করে আইনগত সহায়তা চান। অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়ে সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়।

লে. কর্নেল মোমেন বলেন, এই সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের মূলহোতা আল মাহমুদ ওরফে মামুন ও তার স্ত্রী তানিয়া আক্তার ও সহযোগী মাস্তুরা আক্তার প্রিয়া। এ দুই নারীর ছবি ও ভুয়া পরিচয় ব্যবহার করে বিভিন্ন ব্যক্তিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রলোভন দেখিয়ে নির্দিষ্ট কোনো আবাসিক ফ্ল্যাট বা হোটেলে আমন্ত্রণ জানাতো। ভুক্তভোগীরা ওই স্থানে উপস্থিত হলে পরিকল্পনা অনুযায়ী অন্যান্য সদস্যরা ভয়-ভীতি দেখিয়ে ভুক্তভোগীদের জিম্মি করে বিপুল পরিমাণ অর্থ আদায় করতো।

এ কৌশলে চক্রটি গত ২ বছরে অর্ধ শতাধিক ভুক্তভোগীকে ব্ল্যাকমেইল করে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে। অসদুপায়ে অর্জিত টাকায় গ্রেফতাররা রাজধানীর বিভিন্ন অভিজাত এলাকায় বিলাসবহুল জীবন-যাপন করে আসছিল।

গ্রেফতার দুই নারী সম্পর্কে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে র‍্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, গ্রেফতার আল মাহমুদের স্ত্রী গ্রেফতার তানিয়া আক্তার। তারা দুজনে পরিকল্পিতভাবে এই কাজে জড়িছে। এছাড়া গ্রেফতার মাস্তুরা আক্তার প্রিয়া একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন