সোমবার (৪ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে র্যাব-১৪ সিপিসি-২ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পে এক সংবাদ সম্মেলনে গ্রেপ্তার, তার পরিচয় গোপন করে লুকিয়ে থাকাসহ বিভিন্ন বিষয় জানান কোম্পানি অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার মো. আশরাফুল কবির।
সংবাদ সম্মেলনে মো. আশরাফুল কবির জানান, ২০০৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জিয়া উদ্দিনের সঙ্গে কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার হাতকাজলা গ্রামের মো. হারেছ মিয়ার মেয়ে রেখা আক্তারের বিয়ে হয়। এক-দেড় মাস পর থেকেই যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন শুরু করেন জিয়া উদ্দিন।
২০০৬ সালের ১৪ জুলাই রাতে জিয়া উদ্দিন নিজ ঘরে স্ত্রী রেখা আক্তারকে ধারালো দা দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন। এ ঘটনার পরদিন ১৫ জুলাই নিহত রেখার বাবা মো. হারেছ মিয়া বাদী হয়ে তাড়াইল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
তিনি জানান, ঘটনার পর থেকে জিয়া উদ্দিন পলাতক ছিলেন। পুলিশ এ মামলার একমাত্র আসামি জিয়া উদ্দিনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। তার অনুপস্থিতিতে ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি হত্যা মামলায় আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। একই সঙ্গে আসামিকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানারও আদেশ দেন। রায় ঘোষণার পর আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
তিনি আরও জানান, সম্প্রতি র্যাব-১৪ সিপিসি-২ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্প আসামি জিয়া উদ্দিনকে ধরতে গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে এবং তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আসামির অবস্থান শনাক্ত করে। পরে মো. আশরাফুল কবিরের নেতৃত্বে সোমবার সকালে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার রাতেই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা অনুযায়ী জিয়া উদ্দিনকে মিঠামইন থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিতি ছিলেন র্যাব-১৪ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের উপসহকারী পরিচালক মো. হাফিজুর রহমান ও নুরুজ্জামান মিয়া।