English

18 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ১৯, ২০২৪
- Advertisement -

স্কুল শিক্ষার্থী হত্যা: ভয়ংকর বর্ণনা দিল বন্ধুরা!

- Advertisements -

সবাই স্কুল পড়ুয়া সহপাঠী, বন্ধু। গড়ে সবার বয়স ১৪। সবাই ছিল নেশাগ্রস্ত। ঘটনার দিন নয়ন, হৃদয়, মনির ও আসলামের সাথে লাবন এলাকার একটি লেবু বাগানে গিয়ে ব্যাপক মাত্রায় ‘পলিথিন ব্যান্ডি গাম’ নামক নেশা করে। নেশা করতে করতে নিজেদের মধ্যে কথা কাটকাটি ও পরে হাতাহাতি শুরু হয়। সেই বাকবিদণ্ডার একপর্যায়েই সবাই মিলে লাবনকে হত্যা করে মরদেহ রেখে পালিয়ে যায়।

মামলায় গ্রেফতার আসামিদের বিবরণেই উঠে এসেছে লাবন হত্যার এমন ভয়াবহ চিত্র।

এলাকাবাসী জানায়, বন্ধুকে হত্যার পর কারও আচরণে হত্যার এ বিষয়ের কোন লক্ষণ লক্ষ্য করা যায়নি। তারা সবাই স্বাভাবিক ছিল। ঘটনার দুই দিন পর পুলিশ বিশেষ অভিযানে ওই চার বন্ধুকে গ্রেফতার করে। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে বের হয়ে আসে রোমহর্ষক ওই হত্যাকাণ্ডের কারণ। ওই স্কুল ছাত্রদের নেশা , হত্যা ও গোপনীয়তা নিয়ে এলাকার সাধারণ মানুষ বিস্মিত হয়েছে।

ঘটনার বিবরণে প্রকাশ গত ২৭ সেপ্টেম্বর সদর উপজেলার ঘুঘুরাকান্দি গ্রামের মাসুদ রানার পুত্র ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া স্কুল ছাত্র মো. নাইম মিয়া(১২) ওরফে লাবন স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে হাডুডু খেলা দেখতে যায়। কিন্তু লাবন বাড়ি না ফেরায় তার বাড়ির লোকজন তাকে সারা রাত খুঁজে পায়নি। ঘটনার পরের দিন  সকালে ওই গ্রামের জাফর মিয়ার লেবু বাগানের ভিতর লাবনের মরদেহ পাওয়া যায়। এই ঘটনায় এলাকাজুড়ে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। এই হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে কাউকে সন্দেহ পর্যন্ত করা যায়নি।

শেরপুর পুলিশ  হত্যাকাণ্ডের  দুই দিন পর লাবনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ওই চারজনকে গ্রেফতার এবং ২ আসামীর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করে। এনিয়ে  আজ ৩০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দুপুরে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সদর সার্কেল মো. হান্নান মিয়া সদর থানায় এই আলোচিত হত্যাকাণ্ডের বিস্তারিত প্রেসব্রিফিং জানিয়েছেন।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ

আল কোরআন ও আল হাদিস

- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন