মাসুদ উপজেলার সদর ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের বাসিন্দা ও দুগ্ধ সমবায় সমিতির ম্যানেজার। মাসুদের অপর দুই সহযোগী একই গ্রামের বাসিন্দা সিদ্দিক ও শামীম। অভিযুক্তরা আগে বিভিন্ন দুগ্ধ কম্পানিতে চাকরি করতেন। এর আগেও নকল দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য তৈরির অপরাধে এই উপজেলায় একাধিক ব্যক্তিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
এরপর পানির সঙ্গে সয়াবিন তেল, কস্টিক সোডা ও চিনি দিয়ে অত্যন্ত আঠালো কৃত্রিম দুধ তৈরি করেন। পরে এসব নকল দুধ আসল দুধের সঙ্গে মিশিয়ে ঘনত্ব বাড়িয়ে কয়েক গুণ বাড়ানো হয়। দীর্ঘদিন ধরে তারা প্রতিদিন সহস্রাধিক লিটার এই ভেজাল দুধ ঢাকায় পাঠান।
এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে গিয়ে শুধু কস্টিক সোডা জব্দ করে মাসুদকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এ সময় মাসুদের সহযোগী শামীম ও সিদ্দিক পালিয়ে যান।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার রুমানা আক্তার বলেন, কস্টিক সোডা মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। একদিকে দুধের মূল উপকারী উপাদান সরিয়ে ফেলে ক্ষতিকর পদার্থ মিশিয়ে মারাত্মক অপরাধ করেছে তারা। শাস্তি হিসেবে তাদের প্রতিষ্ঠান সিলগালা করে দেওয়া যেতে পারত। তবে প্রাথমিকভাবে তাদেরকে জরিমানা করা হয়েছে।