নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌর শহরে এক রিকশা চালককে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। তার নাম দুলাল হোসেন (৪২)। সোমবার (৯ আগস্ট) ভোরে শহরের নতুন বাবুপাড়ার সানাউল্লাহ বসুনিয়া সড়কে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছে। সোমবার রংপুর ডিআইডির ক্রাইম সিনের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে দীর্ঘ সময় ধরে হত্যাকাণ্ডের বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছেন। পরে রিকশাচালকের রক্তাক্ত মরদেহটি উদ্ধার করেছে সৈয়দপুর থানা পুলিশ। তবে এ হত্যাকাণ্ডের কারণ কিংবা এর সঙ্গে কে বা কারা জড়িত তা উদ্ঘাটন হয়নি।
জানা গেছে, দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার তিন নম্বর ফতেজংপুর ইউনিয়নের চার নম্বর ওয়ার্ডের ডাঙ্গারহাট এলাকার মকবুল হোসেনের ছেলে দুলাল হোসেন। তিনি মূলতঃ সৈয়দপুর শহরে রাতের বেলায় নিয়মিত রিকশা চালিয়ে জীবন নির্বাহ করে আসছিলেন। আর তিনি রিকশা চালানো অবস্থায় বেশিরভাগ সময়ে সৈয়দপুর পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের নতুন বাবুপাড়া এলাকায় অবস্থান করতেন। ঘটনার দিন সোমবার ভোরে শহরের উল্লিখিত এলাকায় তাকে ধাঁরালো অস্ত্র দিয়ে গলার ডান পাশে কেটে হত্যা করা হয়। এ সময় হত্যাকাণ্ডের স্থানে তার রিকশা ও মোবাইল ফোনটি সড়কের ওপর পড়েছিল। এ সময় তার হাতেও একটি ছুরি ছিল।
সকালে আশপাশের এলাকার লোকজন সড়কের ওপর এক ব্যক্তিকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে সৈয়দপুর থানা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবুল হাসনাত খানের উপস্থিতিতে উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আহসান হাবীব ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন। এছাড়াও রংপুর সিআইডির ক্রাইমসিনের সদস্যরাও এসে হত্যাকান্ডের শিকার রিকশা চালক দুলাল হোসেনের মরদেহসহ ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেন। পরে লাশটি উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়। তবে কারা, কি কারণে একজন নিরীহ রিকশা চালককে এভাবে হত্যা করলো তা এ রিপোর্ট পাঠানো পর্যন্ত উদঘাটন হয়নি।
এদিকে, ঘটনার খবর পেয়ে সকালে সৈয়দপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সারোআর আলম ো নীলফামারীর পুলিশ সুপার মোখলেসুর রহমানও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবুল হাসনাত খান বলেন, সকাল ৬ টার দিকে এলাকার জনৈক ব্যক্তির মোবাইল ফোনে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পৌঁছে সকল প্রক্রিয়া শেষ লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। হত্যাকান্ডের তদন্ত ও আইনগত ব্যবস্থা নিতে কাজ চলছে। পুলিশ অতি দ্রুততম সময়ের মধ্যে এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন করতে সক্ষম হবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।