গাইবান্ধা শহরে সুদের টাকা দিতে না পারায় সাবেক আফজাল সুজের ডিলার হাসান কে অপরহন করে দীর্ঘ একমাস নিজ বাসায় আটকে রাখেন গাইবান্ধা জেলা আওয়ামীলীগ এর উপ দপ্তর সম্পাদক মাসুদ রানা। সুদের টাকার চাপে শনিবার সকালে মাসুদ রানার বাসায় আত্মহত্যা করেন ব্যবসায়ী হাসান।
হাসান আলী জেলা শহরের থানাপাড়া এলাকার মৃত হযরত আলীর ছেলে। তিনি শহরের স্টেশন রোডে আফজাল সুজ এর ডিলারশিপ পরিচালনা করতেন।
ব্যবসায়ী হাসান আলীর পরিবারের দাবি, গত ৫ মার্চ হাসান কে গাইবান্ধায় অপহরণ করে নিয়ে এনে খানকা শরিফ সংলগ্ন নারায়ণপুরস্থ মাসুদ রানার নিজ বাসায় রাখে। এর পর চলে নির্যাতন। এরপর বিভিন্ন জায়গায় তাকে আটক রেখে নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পসহ সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয়। হাসানের স্ত্রীর কাছে ফোনে ৫ লক্ষ টাকা দাবি করে মাসুদ রানা। মৃত্যুর খবর এলাকাবাসী জানতে পারলে মাসুদ কে এলোপাতাড়ি মারপিট শুরু করে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে মাসুদ রানাকে আটক করে সদর থানায় নিয়ে আসে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আর্থিক লেনদেনের দ্বন্দে এই ঘটনা ঘটতে পারে। তবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পুলিশের একটি সূত্রে জানা গেছে, ব্যবসায়ী হাসান আলী সকালের দিকে মুঠোফোনে তার স্ত্রী মোবাইলে একটি এসএমএস পাঠিয়েছেন। সেই এসএমএস-এ নিজের মৃত্যুর জন্য আ.লীগ নেতা মাসুদ রানাকে দায়ী করেছেন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজার রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।এছাড়া মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, শুধু মাসুদ রানাই নয় শহরের ষ্টেশন রোডের ৩ জন ব্যাক্তি দাদন ব্যবসার সাথে জড়িত। নিহতের পরিবার থানায় মামলা করতে গেলে সদর থানা পুলিশ মামলা নিতে গড়িমসি করে। পরে সাংবাদিকদের চাপের মুখে পড়ে মামলা রেকর্ড করতে স্বীকার হন।